সকল খবর দেশের খবর

৩ দিনের মধ্যে ঐকমত্য সম্ভব: আলী রীয়াজ

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৭-৭-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০১৭

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে চলমান কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠকের শুরুতেই তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আজ থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আশা করছি, অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করে আমরা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে পারব বা চূড়ান্তে উপনীত হতে পারব। আপনারা (রাজনৈতিক দলগুলো) অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করছেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টায় অবশ্যই সফলতা আসবে। এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের রাখা দরকার।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। আজকের আলোচনায় উঠে আসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—পুলিশ কমিশন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসব বিষয়ের ওপর ইতোমধ্যে প্রাথমিক ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর তালিকা এখনই প্রকাশ করা হবে না। তবে আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলো যে মতামত দিচ্ছে, সেগুলো সংযোজন করেই চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করা হবে। খসড়া নিয়ে এখন কোনো প্রকাশ্য আলোচনা হবে না। যদি কোনো বড় ধরনের মৌলিক আপত্তি ওঠে, সেটিই কেবল ফ্লোরে আনা হবে। চূড়ান্ত সনদে পটভূমি, প্রক্রিয়া ও প্রতিশ্রুতিগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ বিষয়ে কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজ বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হলেও কীভাবে এই সম্প্রসারণ করা হবে, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সংবিধানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগের অধিকারসমূহকে একত্র করে একটি 'বিল অব রাইটস'-এর মতো কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশ কমিশন নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, আগে পাঠানো ১৬৬টি সুপারিশে এ বিষয়ে কিছু ছিল না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিকদের কাছ থেকে আসা প্রশ্ন ও উদ্বেগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব নতুন করে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠে এসেছে, তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়টি সময়ক্ষেপণ না করে আলোচনায় আনা হয়েছে।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি বাস্তবভিত্তিক, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর জাতীয় সনদ প্রণয়নই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।