বাংলাদেশে ইসলামী আইন ও প্রচলিত আইনের আলোকে জীবিত অবস্থায় কোনো ব্যক্তি তার সম্পত্তির পূর্ণ অধিকার ভোগ করে থাকেন। অর্থাৎ, কোনো বাবা চাইলে জীবদ্দশায় তার সম্পত্তি কাকে দেবেন, কাকে দেবেন না—সে সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন। এতে সন্তানের কোনো আইনি হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
ব্যারিস্টার লিমা এ প্রসঙ্গে বলেন, "ইসলামিক শরিয়া ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, জীবিত অবস্থায় একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তির ওপর পূর্ণ মালিকানা ভোগ করেন। তিনি যদি কোনো সন্তানকে সম্পত্তি দিতে না চান, তাহলে সেই সন্তান আইনি উপায়ে কিছু করতে পারবেন না।"
তবে মৃত্যুপরবর্তী সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ব্যারিস্টার লিমা জানান, "যদি ব্যক্তি কোনো উইল না করে যান, কিংবা জীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টন না করেন, তাহলে মৃত্যুর পর ইসলামি উত্তরাধিকার আইন বা মিরাস অনুযায়ী সন্তানদের নির্ধারিত অনুপাতে সম্পত্তি প্রাপ্য হয়।"
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুসারে, একজন মুসলমানের মৃত্যু হলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি স্ত্রী, সন্তান ও অন্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে ভাগ হয়। এমনকি জীবদ্দশায় কেউ কোনো সন্তানকে অবহেলা বা বঞ্চনার চেষ্টা করলেও, মৃত্যুর পর সেই সন্তান আইনি অধিকার অনুযায়ী সম্পত্তির ভাগ পাবে।
আইনজীবীদের মতে, যদি কোনো সন্তান মনে করেন যে তাকে অবৈধভাবে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তবে তিনি উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে আদালতে যেতে পারবেন—তবে সেটি শুধুমাত্র বাবা মারা যাওয়ার পর। জীবিত অবস্থায় কোনো সম্পত্তির দাবিতে আদালতে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে পারিবারিক বিরোধ এড়াতে ব্যক্তি জীবদ্দশায় সুষ্ঠুভাবে সম্পত্তির বণ্টন বা উইল তৈরি করে যাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।