অন্যান্য খবর আইন-আদালত

বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তিরানী হত্যা মামলায় কাওছারের মৃত্যুদণ্ড

পিয়াস আহমদ: নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ : ২৭-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৬৯

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি রানী (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত মো. কাওছার মিয়াকে (২০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালের ২ মে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে। প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের শামছুদ্দিনের বখাটে ছেলে কাওছার মিয়া পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুক্তি রানীকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর নিহত শিক্ষার্থীর পিতা নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৩, তারিখ-০৩ মে ২০২৩; ধারা: ৩০২, দণ্ডবিধি ১৮৬০)। ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ কাওছারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু ছায়েম মো. আব্দুর রহমান গভীর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২৫ সালের ২৭ মে (মঙ্গলবার) নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, এ নৃশংস হত্যাকান্ডটি পুরো জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মফিজ উদ্দিন শেখ।
রায়ের পর নিহত মুক্তিরানীর বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মণ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি।  দ্রুত রায় কার্যকর হোক, এটাই আমাদের দাবি।"

এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ এই রায়কে যুগান্তকারী ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন।