আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ঈদের দিন ব্যতীত আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।
এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পে সময়মতো পণ্য রফতানির প্রয়োজনীয়তা। এর আগে, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন এনবিআরকে চিঠি দিয়ে রফতানিতে সময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং রফতানি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের বিলম্ব দেশের বৈদেশিক আয় ও ব্যবসায়িক সুনামের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে সতর্ক করেন।
বিজিএমইএর অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর এই বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাতকে আন্তর্জাতিক সময়সীমা পূরণে সহায়তা করতেই কাস্টমস হাউসগুলো খোলা থাকবে।
বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, শ্রমঘন অস্থিরতা, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ঋণে উচ্চ সুদের হার, জ্বালানি সংকট এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি। এসব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রফতানিকারকরা বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রেখে রফতানি আদেশ কার্যকর রাখছেন।
বিজিএমইএ চিঠিতে সতর্ক করে জানায়, চলমান রফতানি আদেশ সময়মতো প্রেরণ করা না গেলে তা বাতিল হতে পারে, যা দেশের রফতানি আয়ে বড় ধাক্কা দিতে পারে। এ প্রেক্ষাপটেই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ সব প্রধান কাস্টমস অফিসে ছুটির মধ্যেও কাজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের রফতানি প্রবাহ অব্যাহত রাখা এবং ব্যবসায়িক সুনাম রক্ষায় কাস্টমস, বন্দর, ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সমন্বিত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এই পদক্ষেপে দেশের পোশাক শিল্প এবং সামগ্রিক রফতানি খাত কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।