অন্যান্য খবর ধর্ম ও দর্শন

ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার !

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৭-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫১০৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেব–দেবীর মূর্তি ভাঙার ভিডিও আপলোড করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও উসকানি সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বারহাট্টা উপজেলার ধারাম পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে জোবায়েদ ইসলাম (২২) নামে ওই তরুণকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জোবায়েদ ইসলাম ধারাম পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রয়াত আবুল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোবায়েদ ফেসবুকে ‘আয়নার ভালোবাসা’ ও ‘মো. জোবায়েদ’ নামে দুটি পৃথক আইডি এবং ‘আসেন বিনোদন নেই’ নামে একটি পেজ পরিচালনা করেন। এ ছাড়া টিকটকে তার একটি আলাদা আইডি রয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মে তিনি বিভিন্ন সময়ে হিন্দু দেব–দেবীর মূর্তি ভাঙার ভিডিও আপলোড করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।

এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোবায়েদের কার্যক্রম নজরে আসার পর নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বারহাট্টা থানায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘জোবায়েদের মোবাইল ফোনের গ্যালারি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডিগুলো পরীক্ষা করে মূর্তি ভাঙার ভিডিও ও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এমন কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জোবায়েদের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে চিড় ধরেছে। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা জানান।

এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা পুলিশের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো দ্রুত প্রতিরোধ করা গেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোবায়েদ ইসলামের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও উসকানি সৃষ্টির মতো ঘটনাগুলো রোধে পুলিশ কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।