সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, সৌদি আরব শিগগিরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ট্রাম্প বলেন, “সৌদি আরব আব্রাহাম চুক্তিতে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, এটি হবেই।” উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে তাঁর মধ্যস্থতায় আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।
নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, মে মাসেই তিনি সৌদি আরব সফর করবেন। এই সফর ঘিরে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি বিশাল অস্ত্র চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের একটি অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজ প্রস্তাবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মে মাসে ট্রাম্পের সফরের সময় এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এই পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত ছয়টি নির্ভরযোগ্য সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই চুক্তি শুধু অস্ত্র বিক্রিই নয়, বরং সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তারক্ষী শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনারও অংশ। এর আগে বাইডেন প্রশাসন সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছিল, তবে সে প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতির অন্যতম অগ্রাধিকার হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্থাপন। তার এই কৌশল শুধু কূটনৈতিক পরিসরে নয়, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।