অন্যান্য খবর রাজনীতি

নির্বাচন দাবি বিএনপির যৌক্তিকতা এখন প্রমাণ হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৩১-৭-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০০৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখেছেন—“রাষ্ট্র কী, রাষ্ট্র কার জন্য?” তিনি বলেন, একটি বছর পার হয়ে গেলেও এখনো হত্যা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও বিচার করা হয়নি। হতাহতদের তালিকা তৈরি কিংবা তাদের পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগও সরকার নেয়নি। এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বললেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি আক্রমণ করছে। অথচ আক্রমণ নয়, এটি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা—যা আমাদের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার এক ধরনের ‘ম্যাজিকাল দেশ’ গড়তে চায়—যার ভিত্তি বাস্তবতার চেয়ে কল্পনায় বেশি। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো রাষ্ট্র কাঠামো টেকসই হতে পারে না। কিন্তু বর্তমান সরকার তার ভেতরে সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ছাপ রাখতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, “৭ আগস্টের সমাবেশ থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন সমালোচনা করা হয়েছিল যে বিএনপি নাকি ক্ষমতায় যেতে চায়। এখন প্রমাণিত হয়েছে—আমরা যে দাবি করেছিলাম, সেটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক ছিল।”

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনীতিতে শত্রুতা নয়, বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত নিজ বক্তব্যে সীমাবদ্ধ থাকা এবং সবার প্রতি সম্মান দেখানো।”

তিনি জানান, লন্ডন বৈঠকে মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার আলোকে ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়েও অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এই সংস্কার বাস্তবায়ন করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রাণ হারানো বা আহতদের কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “একজন শিশুর মাথার খুলি গুলিতে উড়ে যায়, পরে কৃত্রিমভাবে তা প্রতিস্থাপন করতে হয়—এই ত্যাগের চেয়ে বড় আর কী হতে পারে? গণতন্ত্রের জন্য যে মূল্য আমরা দিয়েছি, তা যদি কাজে না লাগে, তবে তা হবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা।”

সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে একটি অংশগ্রহণমূলক, জনগণের রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।