অন্যান্য খবর রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক বৈঠক চলছে!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৫-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৩৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের ধারাবাহিক বৈঠক চলছে। রোববার (২৫ মে) বিকেল ৫টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শুরু হয় এই গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ।

প্রথম দফায় বৈঠকে অংশ নেন বামপন্থি ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, বাসদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ইসলামী দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এই পর্যায়ে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদির।

এছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শনিবার বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।

রাজনৈতিক অঙ্গনের সব অংশীজনকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই এই সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর মধ্যে এই আলোচনা ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।