সকল খবর দেশের খবর

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ৫ দফা নির্দেশনা!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১১-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৫৬

শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাজধানীর যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশের পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া পাঁচ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী যেসব বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের অংশীদারিত্ব রয়েছে, সেগুলোকে দ্রুত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি, বেসরকারি খাতের সম্ভাবনাময় ও বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনা দিয়ে বাজারে আনার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। তৃতীয় নির্দেশনায় তিনি বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তায় তিন মাসের মধ্যে কার্যকর সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। চতুর্থ নির্দেশনায় পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম নির্দেশনায় বড় বড় কোম্পানিগুলোকে ব্যাংকঋণের পরিবর্তে শেয়ারবাজার থেকে বন্ড বা শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহে উৎসাহিত করতে নীতিগত সহায়তার কথা বলা হয়।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজার ইস্যুতে এটিই ছিল প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।