‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। কর্মসূচির ফলে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটে।
আন্দোলনরত কর্মচারীদের পক্ষে 'বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম' জানায়, এই কর্মসূচি চলবে যতক্ষণ না সংশোধিত আইনটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়। ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, "আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।"
তিনি আরও জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের বাদামতলা চত্বরে সমবেত হওয়ার জন্য কর্মচারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সচিবালয়ের বাইরে থাকা অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদেরও একযোগে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভের পেছনে কারণ হিসেবে আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের সংশোধিত খসড়ায় এমন কিছু বিধান যুক্ত করা হয়েছে যা তারা ‘একতরফা ও অমানবিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কর্তব্যে অবহেলা, ছুটিহীন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি কিংবা উসকানির মতো অভিযোগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এটি পুনরায় পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সচিবালয়ের ভেতর এমন কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে সরকারী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।