২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি বিতর্কিত পোস্ট দেন। পোস্টে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং তার নামের আগে 'বঙ্গবন্ধু' যোগ করা হয়। এই পোস্টের পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ঘটনাটি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে, পোস্ট দেওয়ার পর সিরাজুম মুনিরা কায়ছান দাবি করেছেন যে, তিনি এই পোস্টটি করেননি এবং তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল। আইডি ফিরে পাওয়ার পর, তিনি নতুন পোস্ট দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। কিন্তু এর পরও বিতর্ক থামেনি।
মঙ্গলবার সকালে সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে গেলে সেখানে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অ্যাসিল্যান্ডকে তোপের মুখে ফেলেন। পরে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয় এবং একটি নতুন পোস্টে হ্যাকের বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসেন জানান, অ্যাসিল্যান্ড দাবি করেছেন যে, তিনি পোস্টটি লেখেননি এবং তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড অনেকের কাছে ছিল। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আপাতত তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যদি তদন্তের পর কোন অবৈধ কাজ প্রমাণিত হয়, তবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, বিভাগীয় তদন্তের পর যদি কোনও দায়ীত্বহীন আচরণ প্রমাণিত হয়, তবে সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার সিরাজুম মুনিরা কায়ছান কোনো মন্তব্য করেননি, কারণ গণমাধ্যমের কল রিসিভ করেননি।
এটি একটি বিতর্কিত ঘটনা, যা রাজনীতির সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্ককে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং আগামী দিনে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দিকে নজর থাকবে।