অন্যান্য খবর টিপস এন্ড ট্রিকস

সকালে ঘুমানোর অভ্যাস: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ২২-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫১১৮

অনেকেই রাত জেগে কাজ বা বিনোদন উপভোগ করতে গিয়ে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে ঘুমিয়ে সময় কাটান। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই অভ্যাস শরীর ও মনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিয়মিত সকালে ঘুমানোর অভ্যাস শারীরিক সুস্থতা, জীবনযাত্রা এবং মানসিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির ব্যাঘাত
মানুষের শরীর প্রাকৃতিকভাবে দিন ও রাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে, কিন্তু সকালে ঘুমালে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট
সূর্যের আলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের উৎপাদনে সহায়তা করে, তবে সকালে ঘুমালে মেলাটোনিন এবং কর্টিসলসহ অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ক্লান্তি ও বিষণ্নতার সৃষ্টি হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি ও বিপাকক্রিয়া সমস্যা
দৈনিক রুটিনের অশান্তি হজমপ্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করতে পারে, যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সকালে ঘুমানোর ফলে অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস ও অন্যান্য বিপাকজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি
এমন অভ্যাসের কারণে দিনে ক্লান্তি ও হতাশা অনুভূত হতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ঘুমানো স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, যা কর্মক্ষেত্র বা শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

সামাজিক ও কর্মজীবনে ব্যাঘাত
সকালে ঘুমানোর কারণে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের জন্য সময়মতো ক্লাস বা অফিসে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে, যা তাদের কর্মদক্ষতা ও পেশাগত সাফল্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ
শরীর ও মনের সুস্থতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে ঘুমানোর বদলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ জীবনযাপনের দিকে নজর দিন।