বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বাড়াতে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ অর্থ সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই অর্থ সরকারের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, করনীতিতে স্বচ্ছতা আনা, ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার করা এবং সরকারি সেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধে ই-প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারে ব্যয় করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংসদের মাধ্যমে কর অব্যাহতি বিষয়ক সিদ্ধান্তকে আরও জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের আর্থিক প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি ও পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে সরকারি প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এছাড়া, সরকারি ক্রয়ে ইলেকট্রনিক গভার্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বাধ্যতামূলক করা এবং দরপত্র প্রক্রিয়াকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সুদৃঢ় আর্থিক নীতিমালা প্রয়োজন। এই বাজেট সহায়তা সরকারকে সেসব নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।”
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা বলেন, “এই অর্থায়ন সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে এটি নাগরিক চাহিদা পূরণ ও দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।”
বিশ্বব্যাংকের এ সহায়তা এমন এক সময় এসেছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় সরকারের বাজেট বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।