কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপে দুই দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ। অভিযানে দ্বীপজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১ হাজার ৮৫০ কেজি প্লাস্টিকবর্জ্য সংগ্রহ করে মূল ভূখণ্ডে এনে অপসারণ করা হয়। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন পেশাজীবী, স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, ‘দুই দিনের অভিযানে সেন্ট মার্টিনের অলিগলি ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগেও আমরা দ্বীপে একাধিকবার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারা বছর পর্যটকদের সেন্ট মার্টিনে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও তা সীমিত রাখা জরুরি। অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ ছোট এই প্রবালদ্বীপের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দ্বীপে জমে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনা না হয়, তবে এর ক্ষতিকর প্রভাব বঙ্গোপসাগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সেই ক্ষতি কমানোরই একটি উদ্যোগ।’ কেওক্রাডংয়ের দীর্ঘদিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনকে পরিচ্ছন্ন রাখতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কাজ করছে কেওক্রাডং। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এলে দ্বীপটি আরও সুন্দর ও টেকসইভাবে রক্ষা করা সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর হাজারো পর্যটক দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের ফেলে যাওয়া বর্জ্যে সৈকত নোংরা হয়ে পড়ে। কেওক্রাডংয়ের মতো সংগঠনের নিয়মিত উদ্যোগের কারণেই দ্বীপের সৌন্দর্য অনেকটাই ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।’ উল্লেখ্য, সেন্ট মার্টিনে এ পর্যন্ত ১৪ বার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে কেওক্রাডং বাংলাদেশ।