অনিন্দ্যবাংলা : ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা তরুণী , ২৩ আগস্ট, রোববার, ময়মনসিংহ সদর থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ অভিযুক্ত মারুফকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী মারুফ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টিকে একটি মহল অনৈতিক সুবিধায় ধামাচাপা দিয়ে অভিযুক্তকে থানা হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে দফায়-দফায় তদবির চালালেও পুলিশের নৈতিক অবস্থানের কারণে তা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বেশ কিছুদিন পুর্বে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট জটিলতা সংক্রান্ত কাজে গাজীপুর হতে আসেন। ওই সূত্র ধরে পাসপোর্ট অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারী মারুফের সাথে পরিচয় হয় । সেই সূত্রে তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। মারুফ তরুণীকে পাসপোর্ট জটিলতার কথা বলে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। পরে তাকে স্টেশন রোডের খান আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
কোতোয়ালী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিকটিম থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, তরুণীর সাথে মারুফের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মারুফ তরুনীটিকে নিয়ে হোটেলে রাত্রী যাপন করে এবং একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তরুণীটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নগরীর চরপাড়া এলাকা হতে মারুফকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠালে অজ্ঞাত কারণে সে ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে অসম্মতি প্রকাশ করে ফলে ভিকটিমকে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনা শোনার পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মতামত লিখুন :