Logo

রূপকথার মাছ : মহাশোল !

অনিন্দ্য বাংলা
শুক্রবার, জুলাই ৩০, ২০২১
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা : মাশোল/মহাশোল (Tor spp.)ঃ মাছটি Cyprinidae পরিবারের অন্তর্গত, প্রায় ৫৪ কিলো (Wildlife 1977) ওজন এবং ৪.৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের বড় আইস তাদের প্রাকৃতিক রক্ষা কবজ। মাছটির ৩টি জাত (genus) Naziritor, Neolissochilus এবং Tor (১)। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদে Tor হলো প্রকৃত মহাশোল। এ জাতের অন্তর্গত ১৬ টি প্রজাতি আজীবন স্বাদুজলেই বাস করে (potamodromous)। বাংলাদেশে দুটি প্রজাতি দৃশ্যমান, লাল পাখনার হিমালয়ের মহাশোল (Tor putitora) ও সোনালী মহাশোল (Tor tor)। আমার মামার বাড়ি নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী ও কংশ নদ ছিল বাংলাদেশের মহাশোল মাছটির প্রধান উৎস।
পরিচয় : মৎস্য বিজ্ঞানি হ্যামিল্টন ১৮২২ সনে ভারতের মহানন্দা নদীর মাছটির প্রথম বর্ণনা করেন। মাছটি দ্রুত বর্ধনশীল নয়। এদের আইস (ব্যাস ৩.৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে), নীচের চোয়ালটি খিলানাকৃতি, পার্শ্বরেখা বরাবর ২২-২৮টি আইস থাকে, মূখে দুটি বড় গোফ। দেহের রঙ রুপালী সবুজ অথবা পিঠের দিকে ধূসর সবুজ, লম্বা, পিঠের পাখনা লালচে বর্ণের, মুখ অধোমুখী। মহাশোল দেখতে খুব সুন্দর, অনেকটা মৃগেল মাছের মতো, স্বাদেও সেরা।
নামাকরণ: প্রাচীনকালে মাছটিকে ‘ঈশ্বরের মাছ’ ভাবা হতো। হিন্দু মন্দিরগুলো বলতো “মাহশিয়া” (fish of excellence)। ১৮৭৩ সনে Thomas এবং ১৯০৫ সনে Lacy ও Cretin উল্লেখ্য করেন “মহাশির নামটি সৃষ্টি হয়েছিল মহা (মহৎ-great) এবং শির (মাথা) থেকে। থমাসের পার্শি বন্ধু মনে করেন মহাশির দু’টি পার্শি শব্দ মাহী (মাছ) এবং শির (সিংহ)। স্থানীয় ভাবে নানা এলাকায় মাছটি ২৩ টি নামে পরিচিত।
বিচরণ অঞ্চলঃ মহাশোল মাছ বাংলাদেশ সহ দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার নিজস্ব মাছ। এ অঞ্চলের পাহাড়ি পাথুরে নুরিযুক্ত খরশ্রোতা স্বচ্ছ নদীর জলে তাদের বিচরণ। মূল নদীতে পাহাড় থেকে মিশেছে অসংখ্য শ্রোতশীলা ঝর্না। শ্রোতের বিপরীতে পরিযায়ী হবার সময় তারা পাথরে কামড় দিয়ে নিজেদের রক্ষা করে।
খাদ্যাভাস : তারা প্রধানত জলের মধ্য ও তলদেশের খাবার খায়। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। খাবার সংগ্রহে ২ জোড়া গোফ প্রধান সহায়ক। খাদ্যের মধ্যে আছে ছোট শামুক (১০.৫%), কীট পতংগের ডিম ও লার্ভা, জলজ আগাছা (৪৮.৫%), শ্যাওলা (১৪.৫%),কাঁকরা-কেঁচো-চিংড়ী (৮.৩%), পচা জৈব পদার্থ (৭.৯%) এবং বালি ও কাদা (৭.৮%)। তাদের চাপায় শক্ত দাত (pharyngeal teeth) থাকায় ছোট শক্ত খাবারও সহজেই খেতে পারে (২)।
প্রজননঃ পাথর সমৃদ্ধ খরশ্রোতা নদীর তলদেশ তাদের প্রধান প্রজনন স্থান। নদীর উজান শ্রোতে তারা যুগলবন্দি আলাদা আলাদা প্রজননে অংশ নেয় (২)। ১৪ ইঞ্চি বড় হবার পর তাদের যৌন পরিপক্কতা দেখা যায়। প্রজননকালে স্ত্রী মাছ প্রথমে ডিম ছাড়ে, পরে পূরুষ মাছ তার উপর বীর্যপাত ঘটিয়ে ডিম নিষিক্ত করে।
তারা লিঙ্গভেদী (Hermaphrodite)। মুখের শক্ত ও প্রলম্বিত গোফ, বিস্তৃত-লম্বা-খসখসে বক্ষ পাখনা (পার্শ্ব রেখার উপর ৬ নং ও স্ত্রী মাছে ৫ নং আইস) আইস পর্যন্ত বিস্তৃত। বক্ষ পাখনাই পুরুষদের আলিজ্ঞনাবদ্ধ করার প্রধান হাতিয়ার। পুরুষ মাছ জন্মের ২য় বছর এবং স্ত্রী মাছ ৩য় বছরে যৌন পরিপক্কতা অর্জন করে। প্রজননকালে অন্যান্য মাছের মতো তারা রঙ বদলায় না; তবে স্ত্রী মাছের পায়ু অঞ্চলটি বেশ নাদুস নুদুস এবং হালকা গোলাপি হয়। প্রকৃতিতে স্ত্রী-পূরুষের অনুপাত ১;১। পূরুষের আকার মহিলাদের চেয়ে ছোট হয়।
রাজস্থানের উদয়পুর হ্রদে ৪৬৫-৭৪০ মিমি বড় মাছের (T. tor) গড় ডিম উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯,১৪৬-১৭৫,৮৮৬ টি দেখা গেছে। প্রতি গ্রাম দেহের ওজনে ২৪.৬১-৩৬.৩৫ টি ডিম পাওয়া যায় (FAO Doc, 2003)। অনেক চেষ্টা করেও বাংলাদেশের কোন বিশ্বাসযোগ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারিনি। এ বিষয়ে আমার অনুজ ডঃ খলিলকে অনুরোধ রাখলাম। তাদের প্রধান প্রজনন সময় এপ্রিল-জুন (৯২.৭%)। তারা কয়েকবারে ডিম ছাড়ে। জলের তাপমাত্রা, যেমন হিমালয় থেকে প্রবাহিত বরফ গলা ঠান্ডা পাহাড়ি নদী (১৯-২৮ ডিগ্রি সে), পরিস্কার অগভীর জল এবং মৌসুমী বৃষ্টিপাত তাদের প্রজননকে উদ্দীপিত করে। মহাশোল মূলত ঠান্ডা জলের মাছ।
মূল্যমানঃ আমার জানা মতে মাছটি সর্বকালেই দামী ছিল। একসময় নেত্রকোনা অঞ্চলে নানিদ ও মাশোল মাছ দিয়ে জামাই আদর করা হতো। এখন মাছটি দুস্প্রাপ্য। কালেভদ্রে সামান্য পাওয়া গেলেও ৩-৬ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ২০১৫ সনে বারহাট্টায় ১৭ কিলো ওজনের একটি মাছ ৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় হয়েছিল।
পুষ্টিমান: পুষ্টিমান বিচারে আহামরি কিছু না হলেও আমের মতোই মাশোল মাছ লাউয়ের ডগার মতো বেড়ে উঠা কিছু ধনির মর্যাদা, আভিজাত্য শো-ডাউন এবং পরম্পরা গপ্প মারার প্রতিযোগীতায় স্থান পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম মাংশে প্রোটিন ১৭.২৯ গ্রা; ছাই ১.৫৫ গ্রা; ক্রুড ফ্যাট ১.৫২ গ্রা, আর্দ্রতা ৭৯.২৪ গ্রা এবং প্রচুর পরিমানে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ থাকে (৩)।
হুমকি (threat): প্রকৃতিতে তাদের বেচে থাকার বড় হুমকি আপত্য স্নেহহীন বাচ্চা-কাচ্চা। প্রাকৃতিক পরিবেশে বোয়াল, শোল, টাকি, চিতল, আইড় ও পাখী ইত্যাদি দ্বারা ডিম ও পোনা আক্রান্ত হয়। মাছ মারার জন্য ঝাকি জাল, ফাস জাল, ঠেলা জাল, বড়শি ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। বড়শির টোপ হিসাবে কেচো, পিপড়া-বল্লার ডিম বহুল ব্যবহৃত।
প্রজাতি বিপর্যয় : ১৯৮০’র সময়কাল পর্যন্ত হিমালয়ের নদীগুলোতে প্রচুর সংখ্যায় মাছটি দেখা যেতো। তারপর দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তন, নদী গুলোর স্বাভাবিক অবস্থা ধধংশ মাছটিকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়। আমার শৈশবেও নেত্রকোনার কংশ, সোমেশ্বরিতে মহাশোল ধরতে দেখেছি। এখন তা বিলুপ্তির পথে। উজানের নদীতে বাধ নির্মান মাছটির প্রজনন চরিত্র পালটে দিয়েছে। ভারতে সারদা নদীর উপর পঞ্চেশ্বর বাধ সে অঞ্চলের জলজ জীব বৈচিত্র হ্রাসের অন্যতম কারন। ১৯৭০ এর দশকে মহারাষ্ট্রে Tata Electric Company (TEC) মহাশোলের প্রণোদিত প্রজনন শুরু করে। পরে বাংলাদেশ, নেপাল এবং মালয়েশিয়ায় হ্যাচারীতে চারা পোনা তৈরী করে মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্তকরণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিপর্যয় ঠেকানোর প্রয়াস চলছে।

ফিরছে বিলুপ্তপ্রায় মহাশোল!

 আবহমান কাল থেকে মাছ বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কিন্তু দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মৎস্য সম্পদ। অফুরন্ত মাছের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত হাওর অঞ্চলসহ সারাদেশের খালবিল,নদী-নালা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দিনদিন মাছের চাহিদা বাড়লেও ক্রমেই কমে আসছে মাছের যোগান। ফলে বাজারে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে দেশীয় প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ।

আমাদের দেশে ২৬০ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে জাতিসংঘের আইইউসিএন (IUCN-International Union for Conservation of Nature)-এর হিসেব মতে, ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়।

উপমহাদেশের “স্পোর্ট ফিশ” হিসেবে পরিচিত মহাশোল মাছ বাংলাদেশে বিদ্যমান বিপন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম। অনেকের কাছে এই চকচকে সোনালী রঙের দামি মাছটি হয়তো অপরিচিত। আশার কথা হলো, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ব্যাপক স্বুসাদু এই মাছটির কৃত্রিম প্রজনন, পোনা উৎপাদন, চাষ কৌশল ও জিনপুল সংরক্ষণে সফলতার মুখ দেখেছে।

গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ফার্মগেটের খামারবাড়িতে চলমান ‘জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০১৭’-তে বিএফআরআই-এর স্টলের অ্যাকুরিয়ামে দেখা গেছে মাছটি।

এ-মাছের জন্ম ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী সুসং দূর্গাপুরের সোমেশ্বরী এবং কংস নদীতে। কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল যেমন-ময়মনসিংহ, সিলেট, দিনাজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের খরস্রোতা নদী, ঝরনা, লেক এবং পার্শ্ববর্তী খালে বিলে এর প্রাচুর্য ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন মনুষ্যসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক কারণে এদেশে মহাশোলের বিচরণ এবং প্রজননক্ষেত্র প্রতিনিয়ত বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছটির বিলুপ্তির হুমকির মুখে পড়ার অন্যতম কারণ কার্প জাতীয় অন্যান্য মাছের তুলনায় এর অত্যন্ত কম ডিম ধারণক্ষমতাকেও চিহ্নিত করা হয়।

মহাশোলের প্রায়-বিলুপ্তির কারণে বিএফআরআই নেপাল থেকে এ মাছের পোনা আমদানি করেছিল আশির দশকে। পরে পুকুরে পোনা ছেড়ে প্রজনন কৌশল ও জিনপুল সংরক্ষণ করা হয়। সম্প্রতি বিএফআরআই থেকে এ মাছের পোনা উৎপাদনসহ চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করা হয়। উৎপাদিত মহাশোলের পোনা এরই মধ্যে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেক, সোমেশ্বরী নদী এবং কংস নদে অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভোলা, ফেনী, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলে এ মাছের চাষ করা হচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিককালে মহাশোল মাছের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক মৎস্য চাষে রুই জাতীয় মাছের সাথে মহাশোল মাছের মিশ্রচাষ করা সম্ভব। ফলে পুকুরের পানির উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে এ-মাছের কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মাছটি ওজনে সাধারণত ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অন্যান্য কার্প প্রজাতির মাছের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি মহাশোলের বাজারদর। এর চাষপদ্ধতি বিষয়ে বিএফআরআই-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  জানান, সাধারণত ১৭ থেকে ২২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়টা মহাশোল মাছের সবচেয়ে অনুকূল প্রজননকাল। ৪-৫ ফুট গভীরতা সম্পন্ন পুকুরে প্রজনন মৌসুমের ১-২ মাস আগে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ আলাদা পুকুরে মজুদ করতে হয়। মাছের পরিপক্কতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন পুকুরে ২-৩ ঘণ্টা পরিষ্কার পানি সরবরাহ করাসহ মজুদকৃত ব্রুড মাছকে ২৫% প্রোটিন সমৃদ্ধ সম্পুরক খাদ্য দেহের ওজনের ৪-৫% হারে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

এ মাছের প্রজননের জন্য কোনো প্রকার হরমোন প্রয়োগ করতে হয় না; শুধু পরিপক্ক স্ত্রী ও পুরুষ মাছ থেকে ডিম ও মিল্ট সংগ্রহ করতে হয়। সংগৃহীত ডিমের সাথে ১-২ ফোঁটা মিল্ট মিশিয়ে ০.৮% সোডিয়াম ক্লোরাইড এর ফিজিওলজিক্যাল দ্রবণ দিয়ে ডিম নিষিক্ত করা হয়। নিষিক্ত ডিমগুলোকে কয়েকবার পানি দিয়ে ধুয়ে ডিমের আঠালুভাব দুর করে হ্যাচিং জারে স্থাপন করা হয়। সাধারণত ৭২-৮০ ঘন্টা পর ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়ে আসে। লার্ভার বয়স পাঁচ দিন হলে এদের খাবার হিসেবে হাঁস-মুরগীর ডিমের সেদ্ধ কুসুম সরবরাহ করা হয় এবং এ সময়ই রেণুপোনা আঁতুড় পুকুরে ছাড়ার উপযোগী হয়। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত রেণুপোনার বাঁচার হার ৮০-৯৫% হয়ে থাকে।

বাণিজ্যিকভাবে মাছটি ব্যাপকহারে চাষ করার বিষয়ে তিনি জানান, মহাশোল সংরক্ষণের জন্য আমরা এখনো কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় পোনা অবমুক্তকরণের দিকে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। মাছটি ব্যাপক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করলেও দ্রুত বর্ধনশীলতা আর ডিম ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা এখনও কাজ করছি।

তথ্য ঋণঃ (১) 2019, Mahseer (Tor spp.) fishes of the world: status, challenges and opportunities for conservation, Adrian C. Pinder, J. Robert Britton, Andrew J. Harrison, Prakash Nautiyal, Shannon D. Bower, Steven J. Cooke, Steve Lockett, Mark Everard, Unmesh Katwate, K. Ranjeet, Sam Walton, Andy J. Danylchuk, Neelesh Dahanukar & Rajeev Raghavan। Reviews in Fish Biology and Fisheries volume 29 (2019). (২) 2003, FAO Fisheries Synopsis No. 158 FIR/S158, SAST – TOR MAHSEER, Tor tor (Ham il ton, 1822), V.R. Desai, I.C.A.R., India, FAO, Rome; (৩) 2011, Nutriner profile and Health benefits of coldwater fishes, Debajit Sarma et al.