Logo

আলো আসবেই

অনিন্দ্য বাংলা
সোমবার, এপ্রিল ২০, ২০২০
  • শেয়ার করুন

আলো আসবেই!

শরীফ আহমেদ। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। এরপূর্বে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। দশম এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হিসেবে বিপুল জন সমর্থনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালের মন্ত্রী সভায় তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়এর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। সুষ্ঠু সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।

ময়মনসিংহের ফুলপুরে জন্ম নেয়া শরীফ আহমেদ এর পিতা ছিলেন ভাষা সৈনিক শামসুল হক। এক সময়ের তুখোড় রাজপথ কাঁপানো রাজনীতিবীদ শামসুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন। তাঁকে ছাড়া সংসদ জমেই না এমন মন্তব্য বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় করে গেছেন। বস্তুত তিনি ছিলেন একজন আদর্শবাদী বলিষ্ঠ রাজনীতিক। তাঁর নেতৃত্ব এবং প্রচেষ্টায় ফুল পুরবাসী তথা ময়মনসিংহ আলোকিত হয়েছে।

মন্ত্রী শরীফ আহমেদও পিতার আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক। একান্ত ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরে রপ্ত করেছেন জনসেবার নান্দনিক কৌশল ও মানুষকে ভালোবাসার প্রমিত রীতি। তার সেবার পরিধি এখন এলাকা ছাড়িয়ে সমগ্র বাংলাদেশ, তিনি এখন জনমানুষের নেতা।

করোনা সংকটের এই চরম দুর্দিনে তিনি দপ্তর নিয়ে বসে নেই। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বমহিমায়। সাধারন মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি দিয়ে যাচ্ছেন চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী। সরকারি প্রদত্ত ত্রাণের পাশাপাশি নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকেও দিচ্ছেন অকাতরে। তিনি জানেন এই সাধারণ মানুষরাই দেশের মূল ভিত্তি। এঁরা বাচলেই দেশ বাঁচবে।

শুক্রবার দুপুর। টাউনহল মাঠে নিরাপদ দুরত্ব রেখে হাজার হাজার মানুষ। সারিবদ্ধ ত্রাণ গ্রহণ করছেন। চালের বস্তা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে হাসি মুখে বাড়ী ফিরছিলেন ফুলপুরের ফুলবানু। তিনি শহরের কাচারী ঘাট এলাকায় নদীর পাড়ে থাকেন। বিধবা হত দরিদ্র ফুলবাবু বলেন, চল্লিশ বছর ধইরা দেখতাছি তাগোরে, হের বাপও অনেক দয়ালু আছিলো, এই মন্ত্রী বেডাও অনেক দরদী। আমার ঘর আছিলো না, ঘর পাইছি। মাথা গোঁজার ঠাঁই পাইছি। আইজ আবার খাওন পাইলাম। ধন্যিবাদ মন্ত্রী বেডারে, ধন্যিবাদ শেখ হাছিনারে! আল্লাহ তাগো ভালা করুক।

প্রিয় মন্ত্রী। আপনি এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ান। আনাচে কানাচে যতটুকু অন্ধকার আছে সরে যাক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জেগে উঠুক চেতনা, গ্রাম, শহর প্রাণ। আপনার জন্য নিরন্তর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। অন্ধকার ঘুচবেই, আলো আসবেই।

—-শেখ অনিন্দ্য মিন্টু
কবি, লেখক, সাংবাদিক