অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: উড়িষ্যার ধামরা ও বালাসোরের মধ্যে আছড়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সময়ের বেশ কিছুটা আগে স্থলভাগ ছুঁয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মাঝের অংশ।
তিন ঘণ্টা ধরে চলবে এই প্রক্রিয়া। একেবারে প্লাবিত উড়িষ্যা।
এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনিপুরের দীঘার সমুদ্র উত্তাল। সমুদ্রতীরবর্তী নারিকেল গাছ, তাল গাছে আঘাত হেনে সমুদ্রের ঢেউ স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। সমুদ্র ও রাস্তা এক হয়ে গেছে।
সেখানকার বাসিন্দাদের মতে, আমপানের বেলায়ও সমুদ্র এত ভয়াবহ রূপ দেখা যায়নি। গ্রামের পর গ্রাম সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ ২৪পরগনা সাগরদ্বীপ অঞ্চলে। নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে নামখান, পাথর প্রতিমা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জের গ্রামগুলো। ওই অঞ্চলে একাধিক কাঁচাবাড়ি, দোকানপাট ইয়াসের দাপটে তছনছ হয়ে গেছে। করোনার মধ্যে বাধ্য হয়ে পথে আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।
ইতোমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে জানিয়েছেন, সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে ইয়াস আছড়ে না পড়লেও তার ভয়ঙ্কর প্রভাব রাজ্যের দক্ষিণ ২৪পরগনা এবং মেদিনিপুরের হলদিয়া ও দীঘায় পড়েছে। একাধিক নদী প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে বহু নদীর বাঁধ। জলোচ্ছ্বাসের দাপটে ভাসিয়ে দিয়ে গেছে বহু নৌকা। তছনছ হয়ে গেছে একাধিক লঞ্চ।
পশ্চিমবঙ্গের ১০টি জেলায় ১৭ কোম্পানি সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনী হাওড়া, উত্তর ২৪পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মেদিনিপুর জেলাগুলিতে নেমেছে। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অত্যাধুনিক বিপর্যয় মোকাবিলার সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করছে। গাছ কাটা, সম্পত্তি হানি যাতে কম হয় সেদিকে কড়া নজর রাখবে। সঙ্গে চার লাখ সরকারি কর্মচারীদের কাজে লাগানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মূললক্ষ্য প্রাণহানি ও সম্পদহানি যতটা কম হয়। তবে কলকাতা আপতত স্থিতিশীল।
মতামত লিখুন :