Logo

করোনা যুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ২৮৮ ঘন্টা!

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

একটি পরিবারের করোনা যুদ্ধের কঠিন কিছু সময়ের এই শ্বাসরুদ্ধকর লিখাটি পাঠিয়েছেন আমাদের বোন সারাতুল কারিম,
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি,
৪র্থ সেমিস্টার।।

যার বাবা এই যুদ্ধে মাত্র ২৮৮ ঘন্টা বেঁচে ছিলেন। সম্প্রতি ঢাকায় ঘটে যাওয়া এই সত্য ঘটনা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে। ঘটনাটি পড়ুন এবং শেয়ার দিন। অন্যরাও যেনো সতর্ক থাকেন।

=== অনিন্দ্যবাংলা সম্পাদক

বাবা মার পুরোনো একটি ছবি।

শুরুটা যেভাবে-

↪৮ এপ্রিলঃ আমার আব্বুর খুশখুশে কাশি শুরু হয়। কিন্তু তা ছিল ঘন্টায় একবার। করোনা বা কিছুই ভাবিনাই, কিন্তু অন্য সময়ের মত কাশি হলে আম্মু আদা, লবঙ্গ, লেবু চা করে আব্বুকে দেন একটু পরপর।

↪৯ এপ্রিলঃ আমার সেঝ বোনের জন্মদিন ছিলো। সেদিন আম্মুর হঠাৎ জ্বর আসায়, আমরা তেমন কিছু করিনাই। সন্ধ্যায় আমি কেক বানাই, আর পাশের বাসার বাচ্চাকাচ্চাদের ডেকে ছোট্ট করে celebrate ও করি। সেদিন আব্বুর সাথে সন্ধ্যায় একটা ছবিও তুলি। তখনো আব্বু ভালো ছিল। রাত ৮ টা নাগাদ আব্বুর সর্দি শুরু হয়। তখন মনে একটা ভয় ঢুকে যে আম্মুর জ্বর, আব্বুর সর্দি কাশি। আমার মেঝ আপুকে কল দিয়ে বলি। তখন ও NSU PBH এর Nonstop team এর একজন ডাক্তার Dr. Rajib ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করে। পরে ভাইয়াকে symptoms বলি। ভাইয়া বললেন যে চেক করতে জ্বর আসে নাকি। আব্বুকে সেই রাতে Fexo 120 দেই (ভাইয়া বলেছিলেন Loratin 10 দিতে কিন্তু তখন তা ছিলনা)। সেদিন রাতে শুয়ে পড়ি ভেবে যে ভোরে উঠব, রোযা রাখব যেহেতু শব-এ-বরাত ছিল।

↪১০ এপ্রিলঃ ফজরে আমার বোন উঠে দেখে যে আব্বুর জ্বর। তখন থেকেই আমরা tension করা শুরু করি যে কি হলো। ভোরে আব্বুকে খাওয়ায় নাপা খাওয়ায় দেই। রাজিব ভাইয়ার সাথে সকালে কথা বলি। উনি নাপা continue করতে বলেন। আব্বুর জ্বর নামছিল, উঠছিলও, জ্বর খুব বেশি ছিলোও না। তাও আম্মু সমানে আব্বুকে আদা লেবু চা, গরম পানির ভাপ এগুলা দিচ্ছিলো। আর
Napa and Loratin10 দিতে থাকি। আর আম্মুর ওইদিন আর জ্বর আসেনাই। শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক হালকা গরম ছিলো।

↪১১ এপ্রিলঃ এইদিন সকালে আব্বুর শরীর ব্যাথা। সেদিন সকালে আমরা কেন জানি ধরতে পারি করোনা। আমার বোন মাস্ক ব্যবহার করতে থাকে আব্বুর কাছে গেলে। আমার medical history ভালো না দেখে আমাকে প্রথম থেকেই আব্বুর কাছে যেতে না করে। আব্বুর কোন প্রকার গলা ব্যাথা বা শ্বাসকষ্ট না থাকায় সবাই normal flu ও ভাবছিল। কিন্তু ১১ তারিখ সন্ধ্যায় আমার হঠাৎ সর্দি শুরু হয়, রাতে কাশি, তার একটু পর জ্বর,,,,

↪১২ এপ্রিলঃ মাঝ রাতে গলা ব্যাথা, Tonsil এর ব্যাথা, ভোরে শ্বাসকষ্ট আর অনেক জ্বর। সকালে ১০২° জ্বর আর প্রচন্ড শরীর ব্যাথা। সেদিন সকালে ভাইয়া আমার symptoms শুনে ভয় পান যেহেতু আমার দুইবার lungs infection হয়েছিলো। সেদিন সকালে IEDCR কে আমার আর আব্বুর details পাঠানো হয়।
আম্মু আমাকে তখন আব্বুর সাথে আমাকেও গরম পানি গরম চা দেয়া শুরু করে। সেদিন আব্বুর জ্বর আসেনাই। কিন্তু ঠান্ডা ছিলো, তাও শরীরটা ভালো ছিল, দুর্বলতা ছিলনা।
IEDCR এর অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু সেদিন তারা আসেনাই।

↪১৩ এপ্রিলঃ আমি আস্তে আস্তে ঠিক হতে থাকি, গা ব্যাথা দুর হয় কিন্তু জ্বর ছিল আর কাশি। সেদিন আব্বুর অনেক জ্বর আসে, জ্বর কোন ভাবেই নামছিলনা। আমরা আব্বুকে napa আর loratin দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেদিন IEDCR এ কল দেই, বলি যে গতকাল সকালে details দিয়েছি। তারা বলেন গতকাল সকালে দিয়েছেন। আপনাদের serial তো আরও অনেক দেরিতে। আব্বুর অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাতে আবার কল দেই। তারা উত্তর দেন ৪৮ ঘন্টাও লাগতে পারে, ৭২ ঘন্টাও লাগতে পারে বা তার বেশিও লাগতে পারে।
আব্বুর তখন test করানো এত বেশি জরুরি হয়ে উঠে কারণ কোন private hospital ও test report ছাড়া admit করাবেনা। আব্বুর জ্বর সারাদিনেও নামেনাই। তার শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

↪১৪ এপ্রিলঃ একি অবস্থা থাকে। দুপুরে একটু ভালো হওয়ায় আব্বু আম্মুকে বলেন যে আব্বু পোলাও খেতে চান। আগের দিন আব্বু মুখে অরুচি থাকায় ঠিকমতো খেতেও চাচ্ছিলোনা। কিন্তু সেদিন আব্বু মজা করে দুই প্লেট পোলাও খায়। আমরাও খুশি যে আব্বু মনে হয় একটু better feel করছে। কিন্তু বিকালে আব্বুর জ্বর আসে। অনেক জ্বর। IEDCR কোনো response না করায় আমার মেঝ আপুর একজন কলিগ আব্বুর test এর ব্যাবস্থা Mugda Medical College and Hospital এ করে দেয়, পরদিন সকালে করাতে যাবো। আব্বুর অবস্থা অত ভালো না হওয়ায় আমরা Ambulance খুজতে থাকি। কেও আব্বুকে নিবেনা কারন তারা ask করে corona patient কিনা। আমরা বলি যে না। আমরা test করাতে যাবো। তারা না করে দেয়। কিছু ambulance যাওয়া আসা ৮-১০ হাজার টাকা demand করে। কিন্তু আমাদের financial অবস্থা তখন এমন ছিলনা। কোন ভাবেই কোন গাড়ির ব্যাবস্থা করতে পারছিলাম না। facebook এ যুবলীগের এর একটা free service এর post দেখে সেখানে call দেই। সেখানে রাজি হয়। বলে যে পরদিন সকালে আসবে।
সেদিন রাতে আব্বুকে Zimax 500 দেয়ায় রাতে জ্বর অনেকটা নামে।
আমরা এইদিন সারাদিন Nutrivit C বাসার সবাই খাই প্রতি ঘন্টায় একটা করে।

↪১৫ এপ্রিলঃ সকাল থেকে ambulance service কে কল দিতে থাকি। কোন response নাই। ৯ টায় রওনা দেয়ার কথা। ৯ঃ৩০ এ তারা ফোন ধরে বলে আমি পারবো না, অন্য গাড়ি খুজেন। আমি রাগ হয়ে বলি আপনার নামে আমি কম্পলেইন করবো। একটু পর উনি কল দিয়ে বলে গাড়ি পাঠাচ্ছি কিন্তু আসতে আরও আধা ঘণ্টা লাগবে। পরে না করি কারণ ১০ টার মধ্যে সেখানে পৌঁছাতে হবে। তখন বাধ্য হয়ে decide করি রিক্সায় করেই যাবো। আব্বুর শরীর অনেক দুর্বল ছিলো। ঠিকমতো হাটতেও পারছিলো না। সেদিন test করায় বাসায় আসি। মাগরিবের সময়ই তারা কল দিয়ে বলেন আমার negative আসছে কিন্তু আব্বু আম্মু দুইজনেরই positive। অনেকটা ভেঙ্গে পড়ি সত্যি বলতে কারণ কখনো ভাবিনাই যে করোনা আমার বাসায় এসেই হানা দিবে। যেহেতু আব্বুর তখনো শ্বাসকষ্ট ছিলো না তাই বুঝতে পারছিলামনা জ্বরের জন্য কি করবো। সেই রাতে আমার মেঝ আপু ভাবে যে আব্বুকে admit করানো দরকার। যেহেতু আব্বুকে একা থাকতে হবে হাসপাতালে তাই আমরা ভাবি যে আব্বুকে সকালে বুঝায় mentally prepare করে পাঠাবো, কারণ আমার আব্বু কখনো আমাদের ছাড়া থাকেনাই। আর বাসায় ঠান্ডা কাশির, জ্বরের treatment করা যায় কিন্তু শ্বাসকষ্ট হলে কি করবো! তাই হাসপাতালে নেয়ার decision নিব ভাবছিলাম।

↪১৬ এপ্রিলঃ কিন্তু সেই রাতে ২টা নাগাদ আব্বুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাতটা অনেক কষ্টে পার করি। আব্বু সেই রাতে বলছিলেন “আমার রাত কখন পোহাবে?”। ভোরেই আব্বুকে জানাই যে আব্বুর করোনা হয়েছে, আর বুঝাই যে হাসপাতালে নিব। আব্বুও treatment seek করছিলেন কারণ আব্বু বুঝতে পারছিল যে আব্বু অসুস্থ। আব্বু বারবার জিজ্ঞেস করছিলো যে গাড়ি কখন আসবে।

কুর্মিটোলার ও কুয়েত মৈত্রীর অবস্থা ফেসবুক ও মানুষের মুখে শুনে জানতাম যে আব্বুকে সেখানে দেয়া যাবেনা। আব্বু যাবেইনা, আর আব্বুকে দিলে আব্বুকে দেখতেও পারতামনা হয়তো। পরে আমার মেঝ আপুর কলিগ অফিসের reference এ Regent Hospital এ আব্বুকে admit করায়, তারা বলেনও আমরা মাঝে মাঝে আব্বুকে দেখতে যেতে পারবো। আব্বুকে দুপুরে রেখে আসে। কিন্তু একটু পরেই সে ওখানে পাগল হয়ে যায়, থাকবেনা। আমার মেঝ আপুকে তারা ডাকে। আপু গেলে আব্বু জানায় যে আব্বু একা থাকবেনা, আম্মু যেহেতু posiitve তাই আম্মুকে দেই আব্বুর সাথে। আব্বুকে তারা কেবিনে রাখে। আমাদেরও tension হয় রাতে আব্বু সিক হলে কে দেখবে। পরে সেদিন সন্ধ্যায় আম্মুকেও পাঠাই। আব্বু খুশি ছিল, কিন্তু রাতে আব্বুর অবস্থা খারাপ হওয়ায় আব্বুকে ICU তে shift করা হয়।

আমার আব্বুর অবস্থা খুবই ভিন্ন ছিল। আব্বুর দুপুরে oxygen level 95-96 তো সন্ধ্যায় 65 এ নেমে যায়। এমন হওয়ায় তারা life support এর permission নিয়ে রাখেন। আব্বুর অবস্থা খারাপ দেখায় আম্মু অসুস্থ হয়ে পরলে আমি আম্মুকে বাসায় নিয়ে আসি। আমার আম্মুর শারিরীক অবস্থা ভালো তাই IEDCR এর doctor বলেন আম্মুকে বাসায় রেখেই treatment করতে। আমার আব্বুর ভিতরে অনেক অস্থিরতা ছিল আর কষ্ট ছিল তাই সে অনেক ছটফট করতেন, তাও ডাক্তাররা একদম বিরক্ত হন নাই। প্রতি ঘন্টায় তারা আব্বুর update over phone জানাতেন। ICU এর দরজায় দাঁড়িয়ে আব্বুকে দেখতেও দিয়েছেন আমাকে। এমনকি আমার আপুকে video call এ আব্বুকে দেখান। কারণ আমাদের বাসা থেকে hospital এত দুর যে যাওয়া সম্ভব ছিলনা কারণ transportation টাও big issue ছিল।

↪যেহেতু করোনার কোন treatment নাই সেই তুলনায় তারা আব্বুর অবস্থা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত try করেছেন। ১৯ এপ্রিল ও আব্বু ভালো ছিলেন কিন্তু ২০ তারিখ ভোরে ৩ঃ৪৫-৪ঃ০০ এর মধ্যে আব্বু আমাদের ছেড়ে চলে যান। তারা সাথে সাথে কল দিয়ে আমাদের জানায়, আমি, আমার মেঝ আপু ও দুলাভাই সেখানে যাই। তারা আমাদেরকে আব্বুকে দেখানও। আব্বুর জানাজা ও দাফন সবকিছু সেদিন সকাল ১১টার মধ্যে ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী হয়েছে খিলগাও তালতলা কবরস্থানে। জানাজায় আমার দুইজন দুলাভাই ও দুইজন মাওলানা উপস্থিত ছিলেন।

➡ আমার আব্বুর ঔষধ, ইঞ্জেকশন ও লিকুইড খাবার বাবদ ছাড়া তারা আর কোন টাকা নেয় নাই।

আব্বুর medical history: 2 brain strokes, cellulites, vasculitis, high BP, diabetes, obesity.

ডাক্তারদের মতে আব্বুর diabetes and obesity এর জন্য আব্বুর condition severe হয়। Oxygen saturation হঠাৎ অনেক কমে যাওয়ায় আব্বুর cardiac attack হয় আর আব্বু মারা যায়।

➡ আর ঘরে বসে treatment and instructions এ IEDCR কোন help করেনাই। এই help totally পেয়েছি NSU PBH team এর Dr. Rajib ভাইয়ার থেকে। আপনারা NSU PBH team এর যেই group সেখানে help পাবেন।

আমার আম্মু বাসায় ভাইয়ার দেয়া instructions এই আছেন। আম্মুর শারিরীক অবস্থা অনেক ভালো আলহামদুলিল্লাহ।

➡Group Link: https://www.facebook.com/groups/1172722946403274/?ref=share

➡➡এবার আসি অন্য ব্যাপারে—
IEDCR এর hotline এ কল করে details দিলেও তারা test করাতে আসবে এক সপ্তাহ পর। ১২ তারিখের দেয়া serial এ তারা কল দেয় ১৮ তারিখ, আমি জানাই যে এতদিন পর আমার আব্বুতো already ICU তে। তারা বলে আমাদের অনেক load। বুঝেন তাইলে test এর অবস্থা। থানা পুলিশ থেকে অনেকবার কল দিয়ে বিরক্ত করেছে। একই information চৌদ্দ বার করে নিয়েছে।

কোন প্রকার ঠান্ডা কাশি গা ব্যাথা জ্বর ignore করবেন না। ignore IEDCR hotline and dont wait for them to come to your home. কষ্ট করে Mugda medical/regent hospital /BSMMU তে গিয়ে test করান। Kurmitola and Kuwait Moitri ignore করেন। Private এ try করেন। atleast মারা গেলেও জানতে পারবেন, আপন জনকে দেখতে পারবেন। ঐখানে মারা গেলেও এক সপ্তাহেও জানতে পারবেন না। Even Kurmitola তে শুনেছি জানাজাতো দুর গোসলও করায় না।

আমাদের positive cases থাকায় IEDCR এর একজন ডাক্তার নিজেই এখন আমাকে জানায় যে আমাদের আবার test করানো লাগলে আমি যেন তাকে personally call করি। আপনাদের কারো লাগলে আমাকে knock দিয়েন, কাজে দিবে কিনা জানিনা কিন্তু hotline থেকে better help পাবেন।

➡999 এ কল করে কোন লাভ হবেনা। তাদের সব agents always busy থাকে।

➡দুরাবস্থাঃ
১. https://www.facebook.com/443516555759385/posts/2726061764171508/
২. https://www.facebook.com/332656306807004/posts/3902072963198636/

❤❤আমি NSU family থেকে অনেক দোয়া ও হেল্প পেয়েছি। আমার faculty রা অনেক supportive ছিলেন। AKO sir, IMR sir, MNT sir তিনজনই আমাকে mentally help করেছেন আর ensure করেছেন যে আমার academic line এ কোন hamper হবেনা কারণ আমি আব্বু আম্মু অসুস্থ হওয়ায় ক্লাস, assignments, projects কিছু করিনাই।

সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন, আম্মুর জন্যও যেন আম্মু সুস্থ হয়ে যায়। আমি জানিনা ভবিষ্যতে আমার কি হবে, দেশের কি অবস্থা হবে!!

সামনে আমার পড়ালেখা আগাতেও পারবো কিনা জানিনা। আমি বর্তমানে EEE student (4th semester), আরও অনেক দিন বাকি। আব্বুর অনেক ইচ্ছা ছিলো আমার ক্যাম্পাসে যাবে। নেয়া আর হলো না আব্বুকে। আমার পরিবারকে দোয়ায় রাখবেন। কখনো ভাবিনাই আব্বু এই মহামারিতে চলে যাবে। ১২ দিনেই আমাদের জীবনটায় অন্ধকার নেমে আসবে। আল্লাহ হয়তো অন্য কিছু plan করে রেখেছেন।

❤❤আমার relative রা over phone অনেক mental support দিয়েছেন।

❤❤আমার আপুর কলিগরা অনেক হেল্প করেছেন মাশা আল্লাহ।

❤❤ আব্বুর জন্য আম্মুর জন্য অনেক পরিচিত অপরিচিত দোয়া করেছেন, তাদের দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করেন

❤❤ডাক্তাররা অনেক ভালোভাবে আমার আব্বুকে চিকিৎসা দিয়েছলেন, তারা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন। আল্লাহ তাদেরকে ভালো রাখুক।

➡নিজেরা ভালো থাকেন, বাসায় থাকেন। বড়দের বাসায় রাখেন। প্রয়োজনে নিজেরা বের হন, আমাদের Immune system aged person দের চেয়ে অনেক বেশি, protect them. Sick হন কি না হন, বাসায় বেশি করে গরম আদা লেবু পানি বা চা খান, Vitamin C খান, avoid cold stuffs, take vapour of lemon and ginger water. Take help from NSU PBH team. Trust me, তারা অনেক helpful.

Call your God as much as you can. Because right now only He can help us.

মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তোলা পারিবারিক গ্রুপ ছবি।।

↪একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে বিব্রত করবেন না- “আপু কিভাবে ওনারা সংক্রমিত হলেন?”
এর উত্তর আমার কাছে নাই, তবে এতটুকু বলতে পারি যে এটা ছিল “Community Transmission”।

এতক্ষণ আপনারা পড়লেন করোনা আক্রান্ত   পরিবারের করুণ অভিজ্ঞতা ও বেদনাময় কাহিনী।  করোনা আক্রান্ত বেশীরভাগ পরিবারের একই রকম অভিজ্ঞতা ও জীবনচিত্র ।  আসুন সবাই  সচেতন হই। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখি, বাসায় থাকি।।