আমি নিখোঁজ
বলুনতো,
মানুষ এতো আজব হয় কেন!
নির্ভেজাল ঠোঁটের
অন্তরালে মিথস ক্রিয়া
মানবিক আকৃতির
অন্তরালে দুর্ভেদ্য রুপ
অন্তরালে বহন করি
মানুষ নামের রোগ।
ঘাটে-ঘাটে,মাঠে দেখাও
হচ্ছে কালেভদ্রে চায়ের কাপে
সম্মিলিত আবেগী চুমুক
ধোঁয়াহীন নিঃশ্বাসে
ঢেকে যায় কালো চোখ
তুমিই বলো! তবে পিছে কেন এতো বিদ্রুপ!
তুমি দায়হীন,
দয়াহীন ফেরারি পাঠশালা তোমার
সুখ উচ্ছাসে উদ্রেকগীন মনোযোগ
আমি চাই না-
তোমার মতো কিছু থাকুক
আমার মনে হয়
তুমি জীবন্ত এক হৃদরোগ।
এই সব বিষয়াদি আর নোট করি না
এফডিসিতে তোমার এখনো মুক্ত যাতায়াত
মিন্টু রোডের ধূলিকণা
নাম্বার প্লেট কোড এ সব
মনে রাখাটাও গভীর রাতের শ্বাসরোগ।
যন্ত্রের মতো দু’খানি পৌরষ্য ঠোঁট,
ক্ষিপ্রতা বোট পাসপোর্ট এন্ট্রি ভিসা
নিখুঁত দূতিয়ালি হোমিও ঔষধে
মিশ্রিত সস্তা এসিডের ডোজ
তুমি ভালো থেকো,
আমি এখন সদ্য নিখোঁজ।
বেলা শেষে
টাকা কি মনুষ্যত্বের চেয়েও মূল্যবান..?
টাকা কি নিখাদ বিশ্বাসের চেয়েও শক্তিশালী ?
অথচ এ জন্য কত সুন্দর সম্পর্ক ভেঙে হচ্ছে খানখান!
কেন সে দুরত্ব!
বেলা শেষে চাই না তিক্ত মান অভিমান।
দিনের শুরুতে কিংবা দিনের শেষে
নিস্তব্ধ শূন্যতায়
মানুষই মানুষের একমাত্র পরম আপনজন..
দু’চোখ বন্ধ হলে মানুষের কাঁধই
বিদায়ী শ্রেষ্ঠবাহন
সময় থাকতে গড়তে পারি হৃদয়ে অনিন্দ্য আসন।
টাকা ছাড়া হয়না কিছু এ ভবে..
টাকা দিয়ে যায় কি পাওয়া সুখ-শ্রদ্ধা-আয়ু তবে..?
“অর্থই সকল অনর্থের মূল”_
মহত্ত্ব প্রচারের আগে ভেবে দেখি-কি সে পরম ভুল !!
কেউ যদি তোমায় না করে কভু ক্ষমা!
নষ্ট নারী হয় কি কভু সর্বহারা জীবনে প্রিয়তমা!
ক্ষমতা অহং অর্থ বিদ্যা বাহুবল কুপথে হয়নি সফল,
অসহায়ের নির্ভেজাল কষ্ট হাসি ইবাদতে নফল।
রুপসী কঙ্কাল –
আমাকে যেতে হবে দূর বহুদুর
এই পথ মাড়িয়ে নিভে যাওয়া আলোয়
নিভৃত পল্লীর পরতে পরতে আঁধারের খেলা,
একটা শব্দহীন আতঙ্ক চারপাশে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে না বলা যতো কথা,
ডুবে যাই বহুতল গহীনে নেই পারাপারের ভেলা।
যে মাটির বুকে নিত্যরথে পুড়ে পুড়ে
শিখেছি প্রেম ধ্রুপদী বর্ণমালা,
ধূর্ত সমাজের যতো সাধু সন্ন্যাস গেরুয়া পাগড়ি
পরতে পরতে আগুনের খেলা,
খায় না দুধকলা শুদ্ধস্বর বাচনভঙ্গি
আগুন পোড়া নীল দুটি ঠোঁট,
আমি কি করে দিবো বিবরণ হেরে গেছি’
তাই বলে কি ভুলে গেছি সেই মুখ!
তোমাদের বিষাদ নগরে বিভ্রান্ত প্রেমে
মাঝে মাঝে হই ফেরারি পথিক,
হোটেল রেস্তোরাঁ পাইন ঘেরা
শুনশান পথে খুঁজি স্বস্তির ঠিকানা,
মোড়ে মোড়ে নিয়ন বাতি ছাতার নীচে
উঁকি মারে দক্ষতার সুখ্যাতি,
নীলকুঠীর পেয়াদা বৈষ্ণবী আঁধার
পথে শিকার খুঁজে নিরবধি।
আমার স্বপ্নটা ফ্যাকাশে বলে আগন্তুক
পথিকের চোখে খুঁজি মায়া,
দ্বি-প্রহর সূর্যের আলোয় পুড়িয়ে তাজা প্রাণ
তোমার নিঃশ্বাসে ছুঁয়েছি আগুনের ছায়া,
তুমি ধুমকেতু উল্কা তাবৎ শহরে খুঁজো জঞ্জাল..
আঁধারে তাহারে পরিয়েছি যে মালা
শুভ্রদেহে ছায়াময় এক মানবী
শাশ্বত রুপসী কঙ্কাল।
মতামত লিখুন :