জনসমাগম ঠেকাতে নগরীর মেছুয়া বাজার থেকে কাচারীঘাটে কাঁচা বাজার স্থানান্তর করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। সরকারের সামাজিক (শারীরিক) দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ১০ এপ্রিল সকাল থেকে সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়। ব্যবসায়ীদের ৩ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে তিনি ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে অস্থায়ী বাজার বসানোর ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে মানুষের চাপ কমেছে নগরীর প্রধান মেছুয়া বাজারে। নাগরিকরা এখন নিরাপদে মেছুয়া বাজার থেকে মুদি মালামাল এবং কাচারীঘাটের অস্থায়ী কাঁচা বাজার থেকে সবজি কিনছেন। কাঁচা বাজার স্থানান্তরের বিষয়টি অনুকরণীয় হয়েছে বিভিন্ন মহানগর, জেলা এবং উপজেলা শহরে। এরই মধ্যে ৫টি বিভাগীয় এবং ৪৫টি জেলা শহরের মূল বাজার থেকে ফাঁকা মাঠে কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নগরবাসীকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে এখন কাজ করে যাচ্ছেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নগরীর ৭৫ হাজার হতদরিদ্র এবং অসহায় পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।
জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করেন। দাঁড়িয়ে থেকে সড়ক এবং অলিগলি জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার তৃতীয় ধাপে মানুষ যখন অজানা আশঙ্কায় নিমজ্জিত তখনও সড়কে অবস্থান করছেন মেয়র টিটু। জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে মহানুভবতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী।
নাগরিকদের কল্যাণে জীবন বাজি রেখে নগরী ঘুরে সিটি কর্পোরেশন ও স্বেচ্ছাসেবীদের অর্ধশত টিমের কাজ তদারকি করেন। মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব এবং বিভিন্ন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ রেখে সমন্বয় করছেন করোনা পরিস্থিতিতে করণীয়। মসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করেছেন একাধিক কমিটি। সার্বক্ষণিক খোলা রেখেছেন কন্ট্রোল রুম। বস্তির পরিবারগুলোর জন্য কাজ করছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। মসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বিতরণ করা হয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী। ১১ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং করোনা পরিস্থিতিতে জীবন বাজি রাখার কারণে মেয়র টিটুকে দেশের অন্যতম ‘শীর্ষ জনপ্রতিনিধি’ উপাধি দিয়েছেন নগরবাসী।
মতামত লিখুন :