Logo

গৃহকর্মী মারুফা হত্যার পোস্ট মর্টেম এর সঠিক রিপোর্ট ও বিচার দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, জুলাই ৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : গৃহকর্মী মারুফা হত্যার পোস্ট মর্টেম এর সঠিক রিপোর্ট ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ৫জুলাই রবিবার সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে এক মানববন্ধন  অনুষ্ঠিত হয়। 

এই বন্ধনে মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, নেত্রকোণাসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন পেশার মানুষ, নেতৃবন্দ ও সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। এসময় বক্তারা বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনের বিগত দিনের সকল অন্যায় কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে নিহত মারুফার মা আকলিমা আক্তারও কান্নাজড়িত কণ্ঠি মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান।উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইউপি চেয়ারম্যান কাঞ্চনের মোহনগঞ্জ বাসায় ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী মারুফা আত্মহত্যা করেছে বলে চেয়ারম্যান নিজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের পর নানার বাড়ি কলমাকান্দায় দাফন করে ১১ মে ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়। ওইদিন রাতেই চেয়ারম্যানকে পুলিশ আটক করে ১২ মে আদালতে পাঠায়। পরবর্তীতে ১৪ মে আবার জামিন নিয়ে বেরিয়ে যান চেয়ারম্যান।

এমন একটি চাঞ্চল্যকর মামলায় একদিনেই কি করে জামিন হয় এ নিয়ে মোহনগঞ্জবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ফেইসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় এক যুবকের ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে মোহনগঞ্জের সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানের ভাই বিচারপতি ওবায়দুর রহমান শাহিনকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে মর্মে থানায় একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস নামে এক যুবককে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কবি নির্মলেন্দু গুণ, মারুফা হত্যার বিচার চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর কবির আবেদন হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
——————————————————————————————————————

“মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সমীপে আমার আবেদন –
আমার এলাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত একটি কিশোরীকে (মারুফা) ধর্ষণ করে, ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় আশংকায় মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমার এলাকাবাসী (বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন) ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন।

খবরটি জেনে আমি খুবই মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ বোধ করছি।

এই বর্বরোচিত ঘটনাটির প্রতি আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত করবেন বলে আশা করছি এবং দাবী করছি।
আপনি এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করুন এবং অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করুন।

আওয়ামীলীগের নেতা, চেয়ারম্যান বা মুক্তিযোদ্ধা- অপরাধী যেই হোন না কেন- তিনি আইনের ঊর্ধে নন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরকম প্রতিশ্রুতিই জাতিকে দিয়েছেন। আপনার দায়িত্ব হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এইরূপ প্রতিশ্রুতির সত্যতা প্রমাণ করা।

আমি এই ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
এই অসহায় কিশোরীটির পিতা-মাতা ও প্রিয়-পরিজনদের সাথে আমি আছি।”

আরেকটি মন্তব্যে কবি বলছেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করবো। দেখি তাঁকে ফোনে পাই কি না।
করোনা না হলে অনশনের বিষয়টি বিবেচনা করতাম। ”