Logo

চিরবিদায় কামাল লোহানীর জন্মদিনে অনিন্দ্যবাংলা পরিবারের গভীর শ্রদ্ধা

অনিন্দ্য বাংলা
শুক্রবার, জুন ২৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিজন কামাল লোহানী। বর্ণাঢ্য জীবনে অনেক পরিচয় তাঁর। দেশের শিল্পসংস্কৃতি অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এই মানুষটি ভূষিত হয়েছেন একুশে পদকসহ নানা সম্মানে। আজ শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজ ২৬ জুন তাঁর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। শুভ জন্মদিন বলার মাত্র ছয়দিন আগেই চিরবিদায় নিলেন। তাঁর প্রয়াণে শূন্যতা তৈরি হয়েছে জাতির সংস্কৃতির দিগন্তে।
তাঁর পুরো নাম কিন্তু আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। তাঁর জন্ম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার খান সনতলা গ্রামে। ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন। মা হারান ৬-৭ বছর বয়সে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকার মধ্য দিয়ে স্কুলজীবন শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে চলে আসেন পাবনায়। ভাষা আন্দোলনের বছর পাস করেন মাধ্যমিক পরীক্ষা। সে সময় থেকেই রাজনীতিকে পেলেন বন্ধু হিসেবে। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তিনি প্রচলিত শিক্ষার ইতি টানেন। রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও সংস্কৃতিচর্চায় এরপর ঢেলে দেন মন।
ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ১৯৫৩ সালে গ্রেফতার হন কামাল লোহানী। এর পর ১৯৫৪ সালে আবারও গ্রেফতার হন। এর পর তিনি পাবনা থেকে ঢাকায় এসে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। ১৯৬০ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’-এ যোগ দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা পরিচালক, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে মোট দুই দফায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে কামাল লোহানী ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কামাল লোহানী ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। মার্কসবাদী আদর্শে ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন চার বছর। বর্তমানে উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সদস্য। পাশাপাশি তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও উপদেষ্টা। কামাল লোহানী সাংবাদিকতায় ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তিনি তার লেখনীতে আজও সচল। দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর যেকোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে এখনও সোচ্চার তার কণ্ঠ।