Logo

ডিবি’র অভিযানে বিকাশ প্রতারকচক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

অনিন্দ্য বাংলা
বুধবার, জুন ১৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেক্স: ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে বিকাশে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মাইকেল মিয়া ও ইউসুফ ওরফে ইমন। মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ মানিকগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে একটি বিকাশ প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার বাসিন্দা উর্মি আক্তারকে ফোন করে সুকৌশলে বিকাশে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ঘটনায় উর্মি আক্তার বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি অধিক গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওসি ডিবির পরিকল্পনায় মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবির একটি চৌকুস টিম এসআই শামীম আল মামুন নেতৃত্বে এএসআই জুয়েল মিয়া সহ তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য মাইকেল মিয়া (৩১) ও ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে মোঃ ইউসুফ ওরফে ইমন নামীয় দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা বিকাশে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত মাইকেল মিয়া, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার পিপুলিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার চেলে এবং ইউসুফ ওরফে ইমন ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার ডুমাইন পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ শেখের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ওসি ডিবি শাহ কামাল আকন্দ আরো বলেন, এই প্রতারকচক্র প্রথমে সহজ পথ অবলম্ব করে অন্ধকারে ঢিল ছোরে যেমন“ বলে আপনার নম্বর বিকাশ কিনা? আমি কিছু টাকা পাঠাবো”এভাবেই পরবর্তীতে মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে বিকাশ এ্যাপস ব্যবহার করে আপনার নাম্বারে মেসেজে (বার্তা) দিয়ে-৬ কোডের একটি কোড নম্বর পাঠায়। তখন তারা অন্য নাম্বার দিয়ে ফোন করে বিকাশ কোম্পানীর লোক পরিচয় দিয়ে আপনাকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিষেধ করে এবং আপনার ফোনে যাওয়া মেসেজে ৬ সংখ্যার কোড জানতে চায়। এছাড়া চক্রটি একটি ভূয়া মেসেজ পাঠিয়ে বলবে আপনার নাম্বারে টাকা গেছে ফেরত দেন। তখন আপনি ব্যালেন্স না দেখেই টাকা পাঠানো শুরু করেন। এভাবেই প্রতারকচক্র প্রতারিত করে থাকে।