অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: ড্রাম থেকে বেরিয়ে এলো তরুণী। তরুণীর পরনে কমলা রঙের সালোয়ার ও আকাশি রঙের কামিজ। গলায় ছিল পইতা। ডান হাতে বাঁধা মঙ্গলসূত্র। পুরো শরীর ছিল একটি টিনের ড্রামের মধ্যে ঢুকানো। ড্রামটি পড়ে ছিল রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকার এক ডোবায়।
১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে একজন পথচারী ড্রামের মুখে একটি পা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ড্রামের ভেতর থেকে তরুণীর লাশটি উদ্ধার করে। তরুণীর বয়স ২০-২২ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নগরের সিটিহাট থেকে প্রায় ৩০০ গজ পশ্চিম দিকে রাজশাহীর আমচত্বর-কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস সড়কের পাশে ডোবায় লাশটি পড়ে ছিল। খবর পেয়ে শাহ মখদুম থানার পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ ডোবা থেকে যখন ড্রামটি তোলে, তখন দেখা যায়, মাথা নিচের দিকে ঢোকানোর পর দুই পা দুমড়েমুচড়ে লাশটি ড্রামের ভেতর ঢোকানো হয়েছিল। টিনের এই ড্রামের ভেতর লাশের সঙ্গে দুটি বালিশ এবং একটি কাঁথাও রাখা হয়েছিল। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তরুণীর জিহ্বা বের হয়ে ছিল। লাশে পচন ধরেছে।
গলায় পইতা ও ডান হাতে মঙ্গলসূত্র বাঁধা দেখে কেউ কেউ ধারণা করছেন, মেয়েটি হিন্দুধর্মের অনুসারী হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
নগরের শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, মেয়েটির বয়স ২০ থেকে ২২ বছর হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি, হত্যার কারণও উদ্ঘাটন করা যায়নি।
মেয়েটির গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও জিহ্বা বের হওয়ার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশটি এখানে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে আশপাশের সব থানায় খবর দেয়া হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মতামত লিখুন :