Logo

অবশেষে পানির দামে তরমুজ!

অনিন্দ্য বাংলা
শনিবার, এপ্রিল ৬, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা: দেশের বিভিন্ন জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। জানা যায়- ভোলায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। পাইকারি আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। দর-দাম শুনে তাদের মাথায় হাত, কেউ বা চরম হতাশ হয়েই ফিরছেন বাড়ীতে। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানান- আড়তদারদের কাছে তরমুজ বিক্রি করে দুই লিটার বোতলজাত খাবার পানির দামেও (৪৫ টাকা) মিলছে না। ক্ষেত থেকে কেটে বিক্রি করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে তরমুজ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর চটকি মারা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর সামছুদ্দিনে সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠজুড়ে তরমুজের সমাহার। কেউ কেউ দলবেঁধে মাঠ থেকে তরমুজ কাটছেন। আবার কেউ কাটা তরমুজ একসঙ্গে করে গুনছেন। কেউবা পাইকারদের কাছে তরমুজ বিক্রির জন্য স্টিমার বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন।

তরমুজ চাষি জাহাঙ্গীর আলম ও মিজানুর রহমান জানান, তারা এ বছর প্রায় ২৫ এক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন ছিল না। তাই এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পাইকারি আড়তে তরমুজের দাম খুবই কম। এতে খরচ উঠে আসবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান কৃষকরা।

আক্ষেপ প্রকাশ করে তারা বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির দুই লিটার বোতলজাত খাবার পানি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। অথচ এতো কষ্ট, পরিশ্রম ও টাকা খরচ করে প্রতিপিস তরমুজ আড়তে বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৪০ টাকায়। এতেই বোঝা যায়, পানির দাম থাকলেও তরমুজের দাম নেই।

তরমুজ চাষি আবু সিদ্দিক ও এনায়েত বলেন, ক্ষেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে বাজারদর কম থাকায় আমাদের উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কদিন আগেও আড়তে ৩-৫ কেজি ওজনের প্রতিপিস তরমুজ ১২০-১৫০ টাকা, ৬-৮ কেজি ওজনের ১৬০-২২০ টাকা ও ১০-১২ কেজি ওজনের প্রতিপিস তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৮০ টাকায়। কিন্তু এখন ৩-৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ১০-১২ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা দরে।