স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন এই ব্যক্তি। ১ মে তিনি ভাটায় কাজ করতে যান। দুপুর হতে হতে দুবার বমি হয় তাঁর। পরে তাঁকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই দিনই তাঁকে স্থানীয় শ্মশানঘাটে সৎকার করা হয়।
ওই ব্যক্তির ভাই জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ভাই জন্ডিসে ভুগছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, তাঁর ভাই হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, যেহেতু ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাই উত্তর গোবিন্দপুর বেশিয়াপাড়া এলাকাকে লকডাউন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সৎকারকাজে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেলে যে চিকিৎসক ও নার্স ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সোমবার পর্যন্ত জেলা থেকে ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ৬৮০টি ফলাফল হাতে এসেছে। এর মধ্যে ১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। গত ১৪ এপ্রিল প্রথম করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে চারজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মতামত লিখুন :