Logo

দেশীয় অর্থে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে দেশের বিশাল আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পে এরইমধ্যে ২০টি বহুতলভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে গণভবন থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এরইমধ্যে উদ্বোধনী উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনুষ্ঠানস্থলে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এমনকি নির্মিত ভবনগুলোতে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার খুরুশকুলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ভবনগুলোর বসতঘর উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চ্যুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সরাসরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত ২০টি ভবন উদ্বোধন ঘোষণা করবেন এবং ১৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে বসতঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। একই সময় খুরুশকুল প্রান্তে তিনজন উপকারভোগী কর্তৃক আশ্রয়ণ প্রকল্পস্থলে রোপণ করা হবে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এর মধ্যে সংলগ্ন ৬৮২ একর খাস জমি বিমানবন্দরের জন্য বরাদ্দ সহকারে খতিয়ান চূড়ান্ত করা হয়েছে। চিহ্নিত এ পরিমাণ জমিতে বর্তমানে অবৈধভাবে বসবাসরত ৪৪০৯ পরিবারের লোকজনকে পুনর্বাসন করার জন্য বাঁকখালী নদীতীরের খুরুশকুলের ২৫৩ দশমিক ৩৫ একর জমিতে তৈরি করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। ২০১৫ সালে শুরু হয় প্রকল্পের ভরাটের কাজ। প্রকল্পে চারতলাবিশিষ্ট ২৪৫টি ভবন নির্মাণ করার কথা। এর মধ্যে সেনাবাহিনী ২০টি ভবন নির্মাণ করেছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে ৩২টি করে ইউনিট। নির্মিত এসব ভবনে আশ্রয় পাবে ৬৪০টি পরিবার।
পুনর্বাসিত এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদরাসাসহ সবই থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পে নির্মিত ২০টি অত্যাধুনিক ভবনের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা অন্য রকম। এটিও এর একটি প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী নিজে ভবনের নামগুলো রেখেছেন। ভবনের নামগুলো হচ্ছে- সাম্পান, কোরাল, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, কামিনী, গুলমোহর, গোলাপ, সোনালী, নীলাম্বরী, ঝিনুক, কেওড়া, মুক্তা, প্রবাল, সোপান, মনখালী, শনখালী, দোলনচাঁপা, ইনানী ও বাঁকখালী।