অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: বরিশালের আগৈলঝাড়া থেকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী।
বুধবার দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল কলেজের গার্ড রুমে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি চাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হয়রানির শিকার ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, তিনি ডাসার কলেজের শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দআঁক গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে কোটালীপাড়ায় তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে আসেন তিনি। ভ্যানটি রামশীল কলেজ এলাকায় আসার পরে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন তিনি কোনো উপায় না পেয়ে রাশশীল কলেজের গার্ড রুমের মধ্যে আশ্রয় নেন। ওই সময় রামশীল গ্রামের সুভাষ বালার ছেলে অনিমেষ বালা (৩০) গার্ড রুমের মধ্যে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে। ওই কলেজছাত্রী প্রতিবাদ করলে অনিমেষ তাকে ভয়ভীতি দেখায়। বৃষ্টি বন্ধ হলে বিকেল ৩টার দিকে অনিমেষ তার বন্ধু বিপুল বালাকে দিয়ে একটি ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে করে কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
অনিমেষ বালা রামশীল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র বালার ভাতিজা হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তবে জগদীশ বালা এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকাবাসী জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে রামশীলের বালা বাড়িতে শালিস বৈঠক বসানো হয়। শালিস বৈঠকটি অমিমাংশিতভাবে শেষ হয়েছে। তারা জানান, অনিমেষ বালা এলাকায় বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত। এর আগে তিনি একটি ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন।
এ বিষয়ে অনিমেষ বালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত বছর একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় তিনি জেল খেটেছে । কিন্তু এ ঘটনাও সত্য নয়।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পরিবারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগ দিতে বলেছি। পরিবার থেকে অভিযোগ দিলেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মতামত লিখুন :