“বাংলার ফুসফুস সুন্দরবন” ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ পশ্চিবঙ্গে সেই সময় বাংলাদেশে গাছ কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : আমফানে তছনছ হয়ে গিয়েছে ম্যানগ্রোভে ঘেরা সুন্দরবন। ঝড়ের দাপটে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। বাঘ বা অন্য বন্যপ্রাণীর ক্ষতি না হলেও জঙ্গলের অনেক গাছ উপড়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে বিশেষ পদক্ষেপ পশ্চিবঙ্গ সরকারের। নতুন করে ম্যানগ্রোভ রোপন করতে চলেছে রাজ্য। আর এ জন্য বিশ্ব পরিবেশ দিবসকেই বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আয়লা, বুলবুল বা আমফান- সব ঝড়ের আঘাতই সহ্য করতে হয়েছে সুন্দরবনকে। সেখানকার মানুষ প্রতিবারই গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং এবারও একই দুর্দশা। তবে বাড়িতে ক্ষতি বলতে আমফানে তছনছ হয়ে গিয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর। দক্ষিণ কলকাতার হরিশ পার্কে বন দফতরের এক অনুষ্ঠান থেকে সেই কাজের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৫ কোটি ম্যানগ্রোভের পাশাপাশি আরও সাড়ে তিন কোটি গাছ লাগানো হবে। কলকাতাতেও প্রচুর সবুজ ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসের মধ্যেই হবে সৃষ্টির কাজ।” তাছাড়া ওইদিন জেলায় জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে দিনের পর দিন প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট । এতে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফিশারিঘাট সংলগ্ন বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির লম্বাঘোনা উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত প্যারাবন দিনদুপুরে কেটে নিধন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গুদাম পাড়া গ্রামের লম্বাঘোনার নিলাম গ্রহণকারীর কর্মচারী জয়নালের নেতৃত্বে ১০/১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি গাছ কেটে ম্যানগ্রোভ বন উজাড় করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, এভাবে প্যারাবাগান কেটে সাবাড় করে দিলে উপকূলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ধ্বংসের মুখে পড়বে পরিবেশের জীববৈচিত্র্য। উপকূলীয় এলাকার অনেক পরিযায়ী পাখির বাসস্থান বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন, সংশ্লিষ্ট বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।