Logo

ভাংনামারীতে বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ বালু উত্তোলন !

অনিন্দ্য বাংলা
বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্কঃ ময়মনসিংহে গৌরীপুর উপজেলার ইউনিয়ন ভানামারীতে বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ বালু উত্তোলন ও ব্যবসা। অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে এবার অভিযোগ তুললেন খোদ ভাংনামারীর চেয়ারম্যান মফিজুর নূর খোকা।

সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে শত শত ট্রাক ও ট্রলি। স্থানীয় সূত্র জানায় এই সিন্ডিকেটে রয়েছে প্রায় ২০০ জনের একটি দল। আর এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে বয়ড়া বাজারের আল আলামিন পিতা – আবুল কাশেম খান, খানপাড়া, মোকছেদুল পিতা – আবুল হাসিম খান, খানপাড়া, জাহাঙ্গীর পিতা -শাহজাহান
দুবরা চড়া ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ওরা খুব শক্তিশালী। এম পি, ডিসি, এসপি, ইউএনও তাদের পকেটে থাকে। ও সি, চেয়ারম্যান তাদের কাছে চুনোপুটি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মফিজুর নূর খোকা অনিন্দ্যবাংলাকে জানান, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ওদের খুঁটির জোর কোথায়? বালু উত্তোলনে বাধা দিলে উপর মহল থেকে ফোন আসে। তবে,দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে  এ সপ্তাহেই শুরু হবে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান।

বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী পাম্প বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না। ওই আইনের (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখ রয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রম বাল্কহেড বা প্রচলিত বলগেট ড্রেজার ব্যবহার করা যাইবে না। এবং সর্বোপরি এভাবে বালু উত্তোলন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে। এছাড়াও গত বছরের ১৭ জুন (সোমবার) হাইকোর্ট বলেছেন ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না পারলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চাকরি ছেড়ে দিতে’। সেখানে জেলাপ্রশাসকের নাকের ডগায় অবৈধ বালু উত্তোলন! অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে এখনই ভাঙন দেখা দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ফসলী জমি ও বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।  তাছাড়া এসব বালুবাহী ট্রাক ও ট্রলি রাস্তাঘাটগুলোর বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।

এই ব্যাপারে জানতে গৌরীপুর সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে ফোন দিলে যোগাযোগ করা যায়নি।