Logo

মুন্সীগঞ্জে পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার, আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, জুলাই ১৯, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মুন্সীগঞ্জের ৪টি উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোববার সকাল থেকে শ্রীনগরের ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। আরও একাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

আগামী দুইদিন গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া। তিনি জানান, রোববার সকাল থেকে শ্রীনগরের ভাগ্যকুল পয়েন্টে ৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৬ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে এবং মাওয়া পয়েন্টে ৬ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে এখন ৬ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটারে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মায় তীব্র ঘূর্ণায়মান স্রোতের তোড়ে ভাঙণ তাণ্ডব চলছেই। ইতোমধ্যে লৌহজংয়ের হলদিয়া গ্রামের জামে মসজিদের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে পদ্মায়। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙণ তাণ্ডব অব্যাহত থাকায় তীরবর্তী গ্রামবাসী এখন আতঙ্কে দিনযাপন করছে।

লৌহজং উপজেলা প্রশাসন সূত্র মতে, উপজেলায় পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লৌহজংয়র বেজগাঁও ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড, গাঁওদিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড, কনকসার ইউনিয়নের দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ড এবং হলদিয়ার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি পদ্মার ভাঙণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

অপরদিকে রোববার পর্যন্ত পদ্মা নদী সংলগ্ন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল-বানারী ও পাচঁগাও ইউনিয়নসহ ৪টি ইউনিয়নের ২৫শ’ পবিবার পনিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।  কামারখাড়া মুন্সীবাড়ী পয়েন্টে ২টি সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ বিলীন হওয়ায় কামারখাড়া-আদাবাড়ী এবং দিঘিরপাড়-কামারখাড়া-ভাঙ্গুনিয়া সড়ক দু’টি বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল, রাঢ়ীখাল ও বাঘড়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এছাড়া মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী উত্তর ভুকৈলাস, দক্ষিন ভূকৈলাস, পূর্ব বাঘেরচর, আশুলিরচর, বানিয়াল মহেশপুর এবং শিলই ইউনিয়নের কাইজ্জারচর ও বেহেরচর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রাম পদ্মা তীরবর্তী হওয়ায় বন্যা কবলিত হয়ে শত শত পরিবার এখন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।