Logo

ময়মনসিংহে কোভিড আক্রান্ত ৪ জনের ৩ জনই সুস্থ

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, জুলাই ১৯, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ রোববার পর্যন্ত ৪ জেলার তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিভাগে মোট আক্রান্ত ৪ হাজার ৮২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৭৪ শতাংশ।

ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেরপুরে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি। সবার চেয়ে পিছিয়ে নেত্রকোনা জেলা। শেরপুরে আক্রান্তের বিপরীতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৮৪ শতাংশ। এরপরই ময়মনসিংহ জেলার অবস্থান। এই জেলায় সুস্থতার হার ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া জামালপুরে সুস্থ হওয়ার হার ৭৩ শতাংশ এবং নেত্রকোনায় এই হার ৬৩ শতাংশ।

বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ময়মনসিংহ জেলায়। এই জেলায় ২ হাজার ৩৯৭ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০৬ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সদরে ১ হাজার ৩৯৯ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪২ জন। ভালুকায় ২৬২ জনের মধ্যে ২০১ জন, মুক্তাগাছায় ১৩০ জনের মধ্যে ৮৭ জন ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ১০২ জনের মধ্যে ৮১ জন সুস্থ হয়েছেন।

জামালপুরে ৮০৫ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯০ জন। এর মধ্যে সদরে ৩২৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২২৪ জন সুস্থ হয়েছেন। মেলান্দহ উপজেলায় ৯২ জনের মধ্যে ৭৫ জন এবং সরিষাবাড়ীতে ১০৩ জনের মধ্যে ৬০ জন সুস্থ হয়েছেন।

বিভাগে নেত্রকোনায় সুস্থতার হার সবচেয়ে কম। এই জেলায় ৫৯১ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৩৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। নেত্রকোনা সদরে আক্রান্ত ১২১ জনের মধ্যে ৭৪ জন, কেন্দুয়ায় ১১৯ জনের মধ্যে ৬৩ জন, মোহনগঞ্জে ৫২ জনের মধ্যে ৪৭ জন ও পূর্বধলায় ৫৫ জনের মধ্যে ৪২ জন সুস্থ হয়েছেন।

সুস্থ হওয়ার দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে শেরপুর জেলা। এই জেলায় ২৮৯ জন করোনা আক্রান্ত হলেও ২৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১০০ জন, নকলা উপজেলায় ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ জন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৬০ জনের মধ্যে ৫০ জনই সুস্থ হয়েছেন।

বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ২৫ জন, জামালপুরে ১১ জন, নেত্রকোনায় ৫ জন ও শেরপুর জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসায় তৎপর রয়েছে বলে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এর সুফলও পাওয়া গেছে।