Logo

ময়মনসিংহে চাল নিয়ে চালবাজি; বেড়েছে বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা!

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্কঃ ময়মনসিংহে চালের বাজার ক্রমশঃ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। শুরু হয়েছ চাল নিয়ে চালবাজি! স্থানীয় মিল মালিক ও হেজবুল্লা রোডের চাল ব্যবসায়ীরা মিলে সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছ । সিন্ডিকেটের নেপথ্যর কারিগররা অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়েছে প্রশাসনের পক্ষে। করোনা আতংক শুরু হওয়ার পর থেকেই মিল মালিক ও চালের আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, করোনা আতংক শুরু হওয়ার পর থেকেই চালের আড়তদার ও মিল মালিকরা বাজার অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত শুরু করে। এ প্রেক্ষিত আড়তদাররা মিল থেকে মাল কিনে মিলেই মজুদ করে রাখে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে। ২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৭০০ টাকার পরিবর্তে ২২০০/২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৯ চাল ১৭০০ টাকার স্থলে ২২০০/২৪০০ টাকা,নাজির শাইল, ৪৯ চাল,স্বর্না, মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা মিল দরের চেয়ে ৪/৫ শ টাকা বেশি দরে বিক্রি করে মোটা অংক হাতিয়ে নিচ্ছে তারা ।

যেসব অাড়তদাররা নগদ মূল্যে মিল থেকে চাল কিনছে তাই ১শ টাকা কম দর পাচ্ছে বস্তা প্রতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান ময়মনসিংহ হেজবুল্লা রোডের চাল ব্যবসায়ী বিধু সাহা,প্রদীপ সাহা,অমূল্য সরকার, বাবুল,প্রশান্ত,দিলীপ সাহা,নজরুল,রমজান ও শামছু মিল মালিকদের সাথে আতাত করে তাদের নিয়ন্ত্রণে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মোটা অংকের মুনাফা লুটে নিচ্ছে । আর এই চক্রে জড়িত রয়েছে ফুলপুরের কাকলী রাইচ মিল,চুরখাইয়ের সোনালী রাইচ মিল,রহমান রাইচ মিল,পাঙ্গাস মার্কা চাল,শম্ভুগঞ্জের লাঙ্গল ও শাপলা মার্কা চাল কোম্পানী,তারাকান্দার গাভী ওচাক্কা মার্কা চা্ল,মুক্তাগাছার জাহেদ রাইচ মিল ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার অাজিজ মন্ডলের রাইচ মিল।

সূত্র আরো জানায়,ময়মনসিংহের অনেক ব্যবসায়ী মিলের চাল কিনে মিলেই গুদামজাত করে রেখেছে। এ ব্যাপারে মিল মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান জানান ২/১ টি মিল ছাড়া সব মিল এখন বন্ধ। সংস্কার কাজ চলছে। সামনে নতুন ধান উঠবে। জেলায় মাত্র ৪/৫ টি মিল চালু অাছে। যারা ব্যান্ড মাল বিক্রি করে। যেমন শম্ভুগঞ্জের অাজহারের মিলে কিছু মাল অাছে। যা তার নির্দিষ্ট কিছু অাড়তদারের জন্য রাখা।

বাজারে চালের সংকট কেনো এবং কারা মুনাফা লুটছে জানতে চাইলে মিল মালিক বলেন বাজার অস্থিতিশীল করছে অাড়তদারা। প্রশাসন কঠোর হলে তাদের মিল থেকে ক্রয় করার রশিদ দেখে মূল্য নির্ধারন করে দিলে বাজার অস্থিতিশীল করতে পারবে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শংকর সাহা জানান, বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের না, প্রশাসনের। এ বিষয়ে চেম্বারের কিছু করনীয় নেই। চালের বাজারের এই কৃত্রিম অস্থিশীলতার কি শেষ হবে কি না, কেউ বলতে পারছেন না।