Logo

ময়মনসিংহে করোনা প্রতিরোধ আইন অমান্য করায় ৪১মামলা, জেল ও লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, এপ্রিল ১২, ২০২০
  • শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি, অনিন্দ্যবাংলা :
করোনা প্রতিরোধে সেলফ লকডাউন আইন অমান্য করায় গত দুইদিনে ময়মনসিংহ সিটি  কর্পোরেশনসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজ্রিস্ট্রটগণ ১৭০টি অভিযান পরিচালানা করেন। এসব অভিযানে ৪১ মামলা সহ এক লাখ ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে ২জনের জেল ও অন্যদের জরিমানা করা হয়েছে। এই সময়ে ৫ হাজার ৬ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিভাগীয় নগরীর খাগডহর ও কালিবাড়িসহ বিভিন্ন ৮টি টীম রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আয়শা হক জানান।

করোনা সংকটে  দেশ ও দেশের মানুষকে ঘরমুখী করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী। দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ থাকার পরও যারা দোকান খুলে আড্ডাবাজি, জনসমাগম ঘটানো, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে মোটরবাইকে একের অধিক চলাচল করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমানা দেয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আয়শা হক জানান, রবিবার দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভাগীয় নগরীর খাগডহর বাজার ও কালিবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খাগডহর বাজারে দোকান খোলা রেখে জনসমাগম ঘটানোর অভিযোগে ৬টি মামলা হয়েছে। আদালত তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ২শত টাকা জরিমানা আদায় করে। এছাড়া কালিবাড়ি এলাকায় চা খেতে বের হওয়া এবং একই মোটসাইকেলে দুইজন চলাচল করে সামাজিত দুরত্ব নষ্ট করার অভিযোগে আদালত তিনটি মামলা করে। তাদের মধ্যে একজনকে ৩ দিনের জেলা এবং অন্যদের কাছ থেকে আদালত দেড় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এছাড়াও ঐ এলাকায় দোকান খোলার রাখার অভিযোগে একজনের একদিনের জেল ও নয়শত টাকা জরিমানা করা হয়।

পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী আদালতকে সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবিতা সরকার, ফাতেমা তুজ জোহরা ও তাসনিম আক্তার, মোঃ আব্দুল কাদের, আরিফুল ইসলাম প্রিন্স, মাঈদুল ইসলাম ও এ.টি.এম আরিফ এই আদালত পরিচালনা করেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আরো বলেন, আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী দিনরাত টহল দিয়ে আসছে। এ সময়ে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী মানবিক আচরণ করে জনগণকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে আসছে। এরপরও  লোকজন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে অকারণে রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা, চায়ের দোকান খুলে আড্ডাবাজি, মোড়ে মোড়ে অযথা ঝটলা সৃষ্টিসহ হাট বাজারে ভীড় করেই আসছে। পাশপাশি এ সমস্ত চক্র প্রশাসন ও সরকারি নির্দেশনা নয়, যেন করোনা ভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ডেকে আনতে হুমড়ি খেয়ে মাঠে নেমেছে।