বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে সরকারি কর্মচারীদের সহায়ক হিসেবে ওয়ানস্টপস সার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগে সম্পুর্ণ বেসরকারী ও অস্থায়ীভাবে এসব কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে আগত বিপুলসংখ্যাক রোগীর সুচিকৎসার জন্যই কর্তৃপক্ষ এসব কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি গাইনি সার্জারি ও অন্যান্য বিভাগেও বেসরকারিভাবে অস্থায়ী পদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক চিকিৎসক এবং কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলে সুচিকিৎসায় গৃহীত এই পদক্ষেপকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়ে ছিলেন।
আগে হাসপাতালে প্রচুর রোগী থাকার কারণে সার্ভিস চার্জ থেকে ভালো আয় হতো। আর সেই আয়ের একটি অংশ সরকারি বিধিমোতাবেক বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন হিসেবে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আশঙ্কাজনকভাবে রোগী কমে যাওয়ায় হাসপাতালের আয়ও অনেক কমে গেছে। তাই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারী পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া ১৪১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে ছাঁটাই করতে। এ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষও অনেক চিন্তিত।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে এসব চিকিৎসক-কর্মচারীর সহায়তার প্রয়োজন সেখানে তাদের ছাঁটাই কোনোভাবেই কাম্য নয়। সমস্যা সমাধানে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনার আগে হাসপাতালে বহির্বিভাগ, ওয়ানস্টপ সার্ভিস ও জরুরি বিভাগসহ প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার রোগীর ভিড় হতো এবং হাসপাতালের অন্তবিভাগে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকতো। ফলে ইউজার ফী আদায় বাবদ সরকারের রাজস্ব চার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিলো, এখন রাজস্ব আয়েও ধস নেমেছে। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে । করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কতৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে চাকরিচ্যুতি না করে মানবিক কারণে তাদের বহাল রাখা হোক। টাকার সংকট থাকলে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্তৃপক্ষকে টাকার সংস্থান করার আহ্বান জানাই।
মতামত লিখুন :