অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক পুলিশী সেবা প্রদানে জনগণকে পুলিশের কর্মকান্ডে অধিকতর সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ ডিএমপিতে প্রথম বিট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেন। বর্তমানে সারাদেশে এ কার্যক্রম আরো বেগবান ও ত্বরানিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারী, বুধবার, সকালে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ, বিপিএম ভার্চুয়ালি ময়মনসিংহ রেঞ্জাধীন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে বিট পুলিশিং সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে পর্যায়ক্রমে সকল বিট অফিসারদেরকে বিট পুলিশিং এর SOP সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
পাশাপাশি সম্মেলন কক্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ, বিপিএম ।
অপরাধ সভায় অক্টোবর-ডিসেম্বর/২০২০ মাসের ত্রৈমাসিক শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে ০৩টি ক্যাটাগরিতে “Excellence of Performance” পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১. সাজা পরোয়ানা, গ্রেফতারী পরোয়ানা নিষ্পত্তি, মামলা নিষ্পত্তি, নন এফআইআর প্রসিকিউশন দাখিল, ভিকটিম উদ্ধার, চোরাই মালামাল ও মাদক উদ্ধারসহ বিট পুলিশিং কার্যক্রমের জন্য শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ফায়েজুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, ঝিনাইগাতী থানা, শেরপুর; ২. চোরাই মটরসাইকেল, অটোরিক্সা, বিদেশী পিস্তল ও মাদক উদ্ধারের জন্য শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী অফিসার জনাব মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম (বার), অফিসার ইনচার্জ, ডিবি, ময়মনসিংহ এবং ৩. সাজা পরোয়ানা, গ্রেফতারী পরোয়ানা নিষ্পত্তির জন্য শ্রেষ্ঠ পরোয়ানা নিষ্পত্তিকারী অফিসার জনাব আলী হোসেন, সহকারী উপ-পুুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), মেলান্দহ থানা, জামালপুর গনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় দেখা যায় রেঞ্জাধীন জেলাসমূহে আলোচ্য কোয়ার্টারে ৩১৯৪টি মামলা রুজু হয়েছে। বিগত কোয়ার্টারে মামলা রুজু হয়েছিল ৩২৫০টি, অর্থাৎ আলোচ্য কোয়ার্টারে ৫৬টি মামলা কম রুজু হয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ অর্থাৎ ডাকাতি খাতে এ কোয়ার্টারে কোন মামলা রুজু হয়নি। বিগত কোয়ার্টারে ০৩টি মামলা রুজু হয়েছিল। দস্যূতা খাতে এ কোয়ার্টারে ০৫টি মামলা রুজু হয়। পক্ষান্তরে বিগত কোয়ার্টারে ০৯টি মামলা রুজু হয়েছিল। অর্থাৎ আলোচ্য কোয়ার্টারে ডাকাতি দস্যূতা খাতে মামলা হ্রাস পেয়েছে। রেঞ্জাধীন জেলাসমূহে আলোচ্য কোয়ার্টারে ৮২৪টি সাজা পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এতে বিগত কোয়ার্টার থেকে আলোচ্য কোয়ার্টারে মূলতবী পরোয়ানা ১৪৬টি হ্রাস পেয়েছে। আলোচ্য সময়ে ৭৩৮টি মাদক মামলা রুজু করা হয় এবং ১০৫৮জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক উদ্ধারের পরিমান ১,১৭,৩১,০৯৫ টাকা (এক কোটি সতের লাখ একত্রিশ হাজার পঁচানব্বই) (সমমূল্যের)।
সভায় ড. মোঃ আক্কাছ উদ্দিন ভূঁঞা, অতিরিক্ত ডিআইজি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ সহ মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম-সেবা পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ জেলা; মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিপিএম, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, জামালপুর জেলা; সৈয়দ হারুন অর রশীদ; পুলিশ সুপার, রেঞ্জ অফিস, ময়মনসিংহ; মোঃ আকবর আলী মুন্সী; পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা জেলা; মোঃ হাসান নাহিদ চৌধুরী; পুুলিশ সুপার, শেরপুর জেলা; জনাব মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন, পুলিশ সুপার (অপস এন্ড ইন্টেলঃ), রেঞ্জ অফিস, ময়মনসিংহ; মোঃ ফারুক হোসেন, পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), রেঞ্জ অফিস, ময়মনসিংহ; আফরোজা নাজনীন, সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপার, রেঞ্জ অফিস, ময়মনসিংহ; নাজরান রউফ,সহকারী পুলিশ সুপার, স্টাফ অফিসার-টু-ডিআইজি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং রেঞ্জ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মতামত লিখুন :