Logo

শেষ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ দ্বন্ধের অবসান :৩৫ লক্ষ টাকা ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক :  শেষ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের অবসান হলো। সকলের মতামতের ভিত্তিতে চলমান করোনা সংকটে প্রাথমিকভাবে ৩৫ লক্ষ টাকা ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ৪ এপ্রিল জেলা পরিষদের ত্রাণ বিতরণ প্রস্তুতি সভায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ তৈরী হলে ঐদিন রাতে জেলা পরিষদের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নানা অভিযোগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা নাসরিন এর প্রত্যাহার দাবী করে।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের অচলাবস্থা নিয়ে গত ৭ এপ্রিল অনিন্দ্যবাংলা ডটকম ও ওপেন টিভি ২৪ সরেজমিনে একটি  প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদে জনমনে ক্ষোভ তৈরী হলে, প্যানেল চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন মন্তা’র নেতৃত্বে আবার নতুন করে আলোচনা হয়। আলোচনায় পরিষদের সংস্থাপন খাতসহ বিভিন্ন সংরক্ষিত খাত থেকে প্রাথমিকভাবে ৩৫ লক্ষ টাকার ফান্ড গঠন করা হয়।

১৯ এপ্রিল, রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সন্মেলন কক্ষে  সংবাদ সম্মেলনে ২০ সদস্যর মাঝে ভাগাভাগি করে এই ৩৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। প্রতিজন সদস্য দে ড়লক্ষ টাকা পেয়েছেন, চেয়ারম্যান পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।। এই টাকা এলাকার দরিদ্র ,অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে বিলি করা হবে ৷

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান , প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা নাসরিন,প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্তা’র উপস্থিতিতে সকল সদস্য ৩০ লাখ টাকা ও চেয়ারম্যান ৫ লাখ টাকা নগদ বুঝে নেন। এসব টাকা সদস্য ও চেয়ারম্যান নিজ নিজ এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মাষ্টার রোলের ভিত্তিতে বিতরণ করবেন। এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।  

চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ৫ লাখ টাকা, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মমতাজ উদ্দিন মন্তা দেড় লাখ, প্যানেল চেয়ারম্যান ২ মাঃ আব্দুল খালেক দেড় লাখ টাকা, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ ফারজানা শারমিন দেড় লাখ, ও প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদ হক সায়েম দেড় লাখ টাকা। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আছমা উল হোছনা দেড় লাখ ,আরজুনা কবীর দেড় লাখ, দিলরুবা আক্তার দেড় লাখ, আঞ্জুমান  আরা দেড় লাখ, কবিরুল ইসলাম দেড় লাখ, আসাদুজ্জামান সাগর দেড় লাখ, মোঃ মোজাম্মেল হক দেড় লাখ, এইচ এম খায়রুল বাসার দেড় লাখ, বেগম জোসনারা মুক্তি দেড় লাখ, তাজুল ইসলাম বাবুল দেড় লাখ, মোঃ রুহুল আমীন দেড় লাখ, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন দেড় লাখ, মোঃ একরাম হোসেন দেড় লাখ , মোঃ আবুবকর সিদ্দিক দেড়লাখ, এস এম মুজিবুর রহমান দেড় লাখ, মোঃ মহিবুল হক দেড় লাখ ও মোস্তফা কামাল দেড় লাখ টাকা করে পেয়েছেন।

সংবাদ সন্মেলনে  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা নাসরিনের বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলায় নিম্নমানের প্রতিরোধ সামগ্রি দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ও প্যানেল চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন মন্তা বিষয়টির মিমাংসা হয়েছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা নাসরিন বলেন, যেসব সামগ্রী কেনা হয়েছে তা চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্বে কেনা হয়েছে, তাই মান নির্ণয়ের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না,আমার কাছে ক্রয়কৃত সামগ্রীর যেসব স্যাম্পল আছে তার মান আমি দেখেছি, দামের তুলনায় বেশ ভালই, এগুলো নিম্নমানের নয়।

তবে একটি সুত্র জানায়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিন একজন সৎ ও নির্ভীক কর্মকর্তা।  নিজ দায়িত্বের প্রতি সচেতন বলে অনেকেই তার উপর ক্ষুব্ধ।