ময়মনসিংহ রেঞ্জে চার জেলায় আক্রান্ত ২১ জন। তাদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িগুলো ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। অন্যদের থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে যাতে সন্দিগ্ধদের সংস্পর্শে এসে নতুনভাবে কেউ আক্রান্ত না হয়। লকডাউনে থাকা মানুষদের খাদ্য, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরী সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বেশ আগে জানুয়ারী থেকে বিদেশ হতে আগতদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করে সন্দেহভাজন ভাইরাস বহনকারীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ময়মনসিংহ রেঞ্জের চারটি জেলায় তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩,৬০০। তাদেরও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ নিবিরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা এবং গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যেই আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। “সামাজিক দূরত্ব” বজায় রাখা, অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা, তাদের সান্নিধ্যে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা এবং তাদের আশেপাশের বাড়িঘর স্থানীয়ভাবে লকডাউন করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মহাসড়কে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ সরবরাহ সহ অন্যান্য জরুরী সেবা/পরিবহন সচল রাখা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা/উপজেলার প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যাতে অন্য এলাকার লোক অনুপ্রবেশ করতে না পারে। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন এবং গ্রাম থেকে গ্রামে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহ রেঞ্জ কার্যালয় ও রেঞ্জাধীন জেলা পুলিশ কর্তৃক শ্রমজীবী, গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ ৭১৭০টি পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, আটা, লবণ, সাবান ইত্যাদি) এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ/হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি) বিতরণ করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম লাগাতার অব্যাহত রয়েছে।
মতামত লিখুন :