Logo

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্সে দুদক

অনিন্দ্য বাংলা
শুক্রবার, জুন ২৬, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি দমন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, গত বছর থেকে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে, আরও একাধিক মামলা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্তির সুপারিশ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, করোনা সংকটকালে চিকিৎসা সমগ্রী কেনার নামে দুর্নীতিরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে ২৩টি মামলা করেছে বলেও জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, এরপরও কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। অনুসন্ধানটি হতে হবে নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ। মানুষকে সবকিছু জানাতে হবে। দুদক কোনোকিছুই গোপন করে না, করবেও না। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও দালিলিক প্রমাণাদির মাধ্যমে যেমন অপরাধীদের আমলে আনতে হবে তেমনি জনগণের কাছেও কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির দুর্নীতি, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম একটি বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করার সময় তিনি এসব কথা জানান।
এদিকে দুদকের গোয়েন্দা অনুবিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরে প্রণীত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিগত তিন মাসে ত্রাণ দুর্নীতি, সরকারি খাদ্যগুদামের খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ, অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা দায়ের করেছে কমিশন। প্রতিটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দ্রুততার সাথে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কমিশন প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কমিশন ২০১৭ সালেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল। ২০১৯ সালের প্রারম্ভে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির (১১টি) উৎস এবং তা নিয়ন্ত্রণে ২৫ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত একটি প্রতিবেদন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের নিকট হস্তান্তর করে ছিলেন।