অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির পটভূমিতে স্বাস্থ্যখাতে যখন একের পর এক দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, তখন সরকার টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতি দূর করার কথা বলছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় চুনোপুটি কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। কিন্তু সংকটের গভীরে গিয়ে প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী মহল বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে এখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।
স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-অনিয়মের গভীরে যাওয়া আসলে কতটা চ্যালেঞ্জের, এবং সিণ্ডিকেট বা স্বার্থন্বেষী মহলের প্রভাব থেকে স্বাস্থ্যখাতকে মুক্ত করা কী আদৌ সম্ভব-এই খাতের পর্যবেক্ষকদের অনেকে এসব প্রশ্ন তুলেছেন।
সিণ্ডিকেটের হাত কত লম্বা?
স্বার্থন্বেষী মহল বা সিণ্ডিকেটের হাত কি সরকারের হাতের চেয়েও লম্বা, এমন আলোচনাও এখন চলছে।
টিআইবির ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা বেশ কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব বিষয় নয় বলেও তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে গত এক সপ্তাহে ১০টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর এখন সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিককে কঠোর নজরদারির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ: আব্দুল মান্নান বিবিসিকে বলেছেন, সব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় তদারকির জন্য জেলায় জেলায় সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ প্রতারণার নানা অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে সরকার যে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব – এই নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে।
জেকেজি হেলথ-কেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগও সামনে এসেছে।
এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকায় এক সপ্তাহে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বেশিরভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং নানা অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে।
সুত্র:বিবিসি নিউজ বাংলা
মতামত লিখুন :