Logo

হাসান হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ: ঘাতক গ্রেফতার 

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক :  ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের লক্ষীপুর দক্ষিণপাড়ায় যুবক হাসানকে জবাইকে করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে বিপুল হাসান মিন্টু (২২) কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ৪নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এ কে এম রওশন জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে মিন্টু।

মিন্টু’র বরাত দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, বিপুল হাসান মিন্টু ও নিহত হাসান মিয়া (১৯) বন্ধু ছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দু’জনেই একসাথে গাঁজা সেবন করে। অতিরিক্ত গাঁজা সেবনের কারণে হাসান নেশাগ্রস্থ হয়ে মিন্টুকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু গাঁজা কাটার ছুরি দিয়ে জবাই করে হাসানকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি হাসানের পালক মাতা মমতা বেগম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরো জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থানার ইদিলপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ ও হোসনে আরা দম্পত্তির পুত্র হলো হাসান মিয়া (১৯)। হোসনে আরা’র বোন মমতা বেগম তাকে ১৪দিন বয়সে পালক আনেন। ভাংনামারী ইউনিয়নের লীপুর দনিপাড়ার মুন্নাছ আলীর স্ত্রী মমতা বেগম নিঃসন্তান। পালক মা মমতা বেগম জানান, তার ছেলে হাসান মিয়া কয়েল আনতে গিয়েছিলো। কয়েল নিয়ে এসে তারপর ইসলামী সভায় যাবে বলেও জানায়। তার জন্য তিনি টুপি-পাঞ্জাবীও প্রস্তুত করে রেখে ছিলেন। নিঃসন্তান মায়ের কোল ভরিয়ে দিয়ে ছিলো হাসান মিয়া। হাসানকে হারিয়ে তার মা মমতা বেগম আবারও নিঃস্ব। দু’হাত তুলে বারবার সন্তান হত্যার বিচার প্রার্থনা করছেন।

গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, হাসান মিয়া হত্যাকান্ডের মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে হাসান মিয়াকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসানের তথ্য মতে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করেছে ডিবি।