Logo

১৫দিনেই ১৫ বছরের সমাধান : ওয়াকফ প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছন মতোওয়াল্লী মাহবুবুর রহমান

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, আগস্ট ২৫, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক :  গত ১৫ বছর ধরে ওয়াকফ কার্যালয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির অবসান হতে চললো। নতুন প্রশাসক এম এম তারিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) যোগদানের ১৫ দিনের মধ্যই পাল্টে গেছে গোটা পরিস্থিতি।

সূত্র জানায়, দূর্নীতির আখড়া বলে খ্যাত ওয়াকফ প্রশাসক কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন উপপ্রশাসক, সহকারী প্রশাসক ও বিভিন্ন কর্মচারী প্রচুর দূর্নীতি, কতর্ব্য কাজে অবহেলা, অনিয়ম ও হয়রানীসহ অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলো।

অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কতিপয় দূর্নীতিবাজ মোতুওয়ালীদের যোগসাজসে বিভিন্ন ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তি কেনা-বেচা ও বেহাত করে সমুদয় আত্মসাৎ করেছেন। তখন কোন অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। অনেক মোতুওয়ালী ন্যায় বিচারের প্রার্থনায় বছরের পর পর ওয়াকফ কার্যালয়ে ধর্না দিয়েও কোন সুফল পাননি। অনেকের চোখের জলের স্মারক হয়ে আছে এই ওয়াকফ ভবন। দীর্ঘদিন যাবত এই সমস্যা বহমান আছে, কিন্তু তা কখনই নিরোসন হয় নি।

অল্প সময়েই তিনি লাগাম টেনে ধরেছেন দূর্নীতি ও অনিয়মের। মতোওয়ালী মাহবুবুর রহমান জানান, নতুন প্রশাসক দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে আলোর ছোঁয়া লেগেছে। প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিভিন্ন শাখা। দূর্নীবাজরা এখন সদায় তটস্থ।

নতুন প্রশাসক এম এম তারিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) বর্তমানে যেভাবে অফিস পরিচালনা করছেন, যদি এই সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বজায় রেখে ওয়াকফ কার্যালয় পরিচালিত হয় তাহলে, এক বছরের মধ্যই দেশের সকল ওয়াকফ স্টেটের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে সৎ, নীতিবান মোতওয়ালীদের কষ্ট এবং দীর্ঘশ্বাস লাগবসহ ওয়াকিবদের মনোবাসনা পূর্ণ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য যে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়াকফ এস্টেটের ৯০ শতাংশ ভূমিই অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। জমি হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় এক লাখ একর। মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ হাজার ওয়াকফ এস্টেট প্রশাসকের কোনো কার্যক্রম নেই।

সংসদ ভবনে গত কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ এস্টেটের এসব চিত্র ওঠে আসে।

বিদ্যমান বাস্তবতায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে করণীয় নির্ধারণে তিন সদস্যের একটি সংসদীয় সাব কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।

সাব কমিটি ওয়াকফ এস্টেটগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে বেদখলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেবে এবং এ সম্পর্কে মূল কমিটিতে রিপোর্ট করবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না।

গোলাম সোবহান আহমদ মিয়া ওয়াকফ স্টেটের পক্ষ থেকে মোতুওয়ালী মাহবুবুর রহমান নতুন প্রশাসক এম এম তারিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) কে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মাত্র ১৫ দিনে ওয়াকফ কার্যালয়ের যে পরিবর্তন সাধিত তা বহাল থাকলে, আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।