বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন- এমন নানা প্রশ্নের পর যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। না হয় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। রাস্তায় গণপরিবহন চলছে না।

বৃহস্পতিবার নগরীতে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলাগুলোতে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), এছাড়া সিটি করপোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেটরাও অভিযান পরিচালনা করেন।

সকাল থেকে নগরীর টাউন হল এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রাস্তায় মানুষকে বের হতে দেখা যায় খুব কম। যারা বের হয়েছেন তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

জেলার গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় সকালে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সেনাবাহিনী সঙ্গে নিয়ে এলাকাগুলোতে মানুষকে ঘরে থাকা ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে সচেতনতা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কঠোরতাও দেখানো হয়।

লকডাউনের বাস্তব চিত্র দেখতে সকালে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক। এ সময় পুলিশ সুপার জনাব মোহা. আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে রয়েছেন।

সেনাবাহিনী ও বিজিবি মাঠে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক জানান, লকডাউন সফল করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলার ১৩ উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য কাজ করছেন। এছাড়া পুলিশ, আনসার ও আর্মড পুলিশও মাঠে আছে।