Logo

চালককে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাই, আটক-৩

অনিন্দ্য বাংলা
শনিবার, জুন ৪, ২০২২
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ির মৃগালী এলাকায় চালককে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

ছিনতাইকারিদের হাতে নিহত সিএনজিচালক মোজাম্মেল হোসেন (২১) জেলার নান্দাইল উপজেলার সাভার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়ার ছেলে।
ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের অভিযানে আটক ভয়ঙ্কর তিন খুনি ও ছিনতাইকারিরা হলেন, জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার বাসীন্দা আবুল মনসুরের ছেলে আবু রায়হান (২৫), পাশর্^বর্তী গাংপাড়া এলাকার নূর আহাম্মদ মিলনের ছেলে মোজাম্মেল হক (১৯) এবং ধামদী এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে জিয়াউর রহমান সাইদুল (২১)।

শনিবার (৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ওসি সফিকুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (৩ জুন) গভীর রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হত্যাকারীদের আটক করা হয়।

ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে যাত্রীবেশে মোজাম্মেল হোসেনের সিএনজি ভাড়া করে ময়মনসিংহ শহরে আসে তারা। সিএনজিটি ছিনতাইয়ের লক্ষে সময়ক্ষেপণ করে রাত গভীর হলে ময়মনসিংহ থেকে ঈশ্বরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এক পর্যায়ে মাঝ রাস্তায় মোজাম্মেলের মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে তার বাবা মো. ফরিদ মিয়াকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। টাকা না পেয়ে আসামিরা মোজাম্মেলকে চালকের আসন থেকে জোর করে নামিয়ে যাত্রীর আসনের মাঝখানে বসিয়ে আসামি জিয়াউর রহমান সাইদুল সিএনজিটি চালায়।এসময় আসামি আবু রায়হান ও আসামি মোজাম্মেল হক দুই পাশে বসে। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মতো চালক মোজাম্মেল হোসেনকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাস্তার পাশে ফেলে সিএনজি ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ঘটনার পরেরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে মোজাম্মেলের পরিবারের লোকজন আঠারবাড়ী-ঈশ্বরগঞ্জ সড়কে মৃগালী এলাকার রাস্তার পাশে মরদেহের খুঁজ পায়। ওই দিন বিকেলে নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকান্ডের রহস্য দ্রুত উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার এসপি আহমার উজ্জামান।
অক্লান্ত পরিশ্রম,দীর্ঘ তদন্ত ও অভিযানের ফলে হত্যার রহস্য উদঘাটন,আসামীদের আটক সিএনজি অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পেরে সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বর্ননাসহ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আসামীরা।