Logo

ছোট উদ্যোগে সফল নারীরা, বাড়িতে তৈরি পণ্য যাচ্ছে বিদেশে

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

উদ্যোক্তা মানে এক প্রকার যোদ্ধা, সাহসী যোদ্ধা। সাহসী না হলে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অর্থায়নের প্রয়োজন, প্রয়োজন পরিবারের সম্মতি। যদি হয় নারী উদ্যোক্তা, তাহলে তো তার জন্য আরও বাধা। পদে পদে বাধা। তবে সব বাধা পেরিয়ে এখন সফল রাজধানীর উত্তরা এলাকার কয়েকজন নারী। যাদের অনেকেই শিক্ষার্থী, কেউ কেউ গৃহিণী। কেউ আবার চাকরি ছেড়ে বেছে নিয়েছেন ব্যবসাকে, হয়েছেন সফলও।

সফল এসব নারী উদ্যোক্তার নেই কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কল-কারখানা। বাড়িতেই তৈরি করেন পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে- খাদ্য সামগ্রী, শাড়ি, থ্রি-পিস, গজ কাপড়, ক্যালিগ্রাফি, কসমেটিকসসহ আরও অনেক কিছু। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসব পণ্য এখন যাচ্ছে বিদেশে। এই ব্যবসার আয় থেকে এসব নারী পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করে সঞ্চয় করছেন, বাড়িয়েছেন ব্যবসার পরিধি। এ নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসার গল্প একে-অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে মিলিত হন ‘লেডিস কেয়ার বিউটি আড্ডা (এলসিবিএ)’ নামের ফেসবুক গ্রুপে। এখানে পণ্যের মান, নতুন নতুন উদ্যোগ শেয়ার করেন একে-অন্যের সঙ্গে।

এমন নারী উদ্যোক্তাদের একজন আফতাবুর নাহার। জাগো নিউজকে শোনালেন তার সফলতার গল্প। সম্প্রতি জাগো নিউজকে আফতাবুর নাহার বলেন, ‘একসময় খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। ক্রেতার আস্থা অর্জনই প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্যবসার পরিধিও। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পণ্য যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা। আমার পুরো ব্যবসাটাই অনলাইন ভিত্তিক। সব পণ্যই জামদানির তৈরি। রয়েছে জুতা, ব্যাগ, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিসহ শাড়ি। গায়ে হলুদের প্যাকেজও রয়েছে আমাদের কালেকশনে।’

তিনি বলেন, ‘আমার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করি। দেশের ৬৪ জেলাতেই পণ্য পাঠিয়ে দেই। যারা আমার পণ্য কিনেছেন তারাই অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করেছেন। এভাবে বিক্রি বেড়েছে। প্রতিমাসে এখন আয় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য রয়েছে আমাদের। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরে বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমার পণ্যের ক্রেতা। তারা পণ্যের অর্ডার করেন অনলাইনে (ফেসবুক পেজ এস কে ফ্যাশন), কুরিয়ারের মাধ্যমে তাদের ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে দেই। এই ব্যবসা আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে, স্বামীসহ পরিবারের অন্যরা আমার ব্যবসায় সহযোগী হয়েছেন।’