Logo

দুর্গাপুর সুদের টাকা দিতে না পারায়

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, মার্চ ১৫, ২০২২
  • শেয়ার করুন

দুর্গাপুর প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে দাখিনাল গ্রামের এক পরিবার সুদের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কৃষি কাজের জন্য কড়া সুদে টাকা নিয়ে অপমান ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বাবুল চন্দ্র দাশ (৪২)। এ নিয়ে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূক্তভোগীরা জানায়, কৃষি কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে সুদে টাকা এনে ফসল চাষ করেন। পর পর কয়েকটি ফসল নষ্ট হওয়ায় সুদের টাকা বেড়ে যায়। সুদে টাকা দেয়া লোকের দাবী মতো টাকা পরিষোধ করতে না পারলেও আসল টাকা দিয়ে মুক্তি চাইলে ব্যবসায়ীরা তা মেনে নিবে না এমন অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে সংখ্যালঘু ওই পরিবারের বাড়িতে এসে চপসৃষ্টি সহ নানা গালমন্দ করার একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবুল চন্দ্র দাশ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয় তাকে।

বাবুল সাংবাদিকদের জানান, ওই এলাকার আব্দুল আজিত নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা সুদে এনে দীর্ঘ সময় ধরে এ পর্যন্ত ২১ লক্ষ টাকা দেয়ার পরেও আরো ১৩ লক্ষ টাকা দাবী করেন সুদ কারবারি আব্দুল আজিত। অপর দিকে শহিদ মিয়ার কাছ থেকে দেড় লক্ষ সুদে আনেন এরপর তাকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার পরেও অসহায় পরিবার দেখে আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করেন। পাশাপাশি বাবার চিকিৎসার জন্য একই এলাকার হাসন আলীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এনে সর্বমোট ৫লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরেও আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। এমন অবস্থায় ওই পরিবারটির উপর নানাভাবে চাপ দিতেই থাকে ওই সুদের ব্যাবসায়ীরা। টাকা ফেরত নিতে বাড়িতে এসে সব সময় নির্যাতন করা সহ অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে থাকে। ঘটনারদিন তিনজন সুদব্যবসায়ী একসাথে তাদের বাড়িতে এসে চাপ ও নানা হুমকী দিলে এ অপমান সহ্য করতে না পেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবুল চন্দ্র দাশ। পরে বাবুল দাশের স্ত্রী শিপা রানী বিশ্বাস এ নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখনও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান শিপা রানী।

এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টাও করা হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলেই ভালো হয়।