জানা যায়, পরিবারের সদস্যরা তাদের তৃতীয় শ্রেণির শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে কোভিড-১৯ এর প্রথম ডোজের টিকা নিতে যান। এই ফাঁকে প্রতিবেশি নরেশ চন্দ্র (৫৫) কন্যা শিশুটিকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার আত্ম-চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন এসে নরেশ চন্দ্রকে ধর্ষণ অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় ক্ষীপ্ত লোকজন ধর্ষক নরেশ চন্দ্রকে উঠানে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের বাবা-মাকে খবর দেয়। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু দালাল শ্রেণির লোকজন ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ দেয়। পরে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার বাবু মেম্বার ও কালাম মাস্টার ৭০ হাজার টাকায় ধর্ষণের মামলা ধামাচাপা দিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক নরেশ চন্দ্রকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তার বাবু মেম্বার সাংবাদিকদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। আপনারা এত বাড়াবাড়ি করছেন কেন। ৭০ হাজার টাকা কে নিয়েছে কি করেছে এত কিছু জেনে কি করবেন। বেশি মাথাচাড়া দিবেন না, তাহলে সমস্যায় পরবেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান, ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতামত লিখুন :