অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: প্রতিবেশীদের অকথ্য গালাগাল ও পা ভেঙে দেয়ার হুমকিতে অবশেষে থানায় জিডি করলেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের করোনা জয় করা এক নার্স তাসলিমা আক্তার সেতু। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পা ভেঙে দেয়ার হুমকিতে তিনি মোহনগঞ্জ থানায় জিডিটি করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেতু কর্মরত অবস্থায় কয়েকদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে করোনা নেগেটিভ হওয়ারও সাতদিন পর বাড়ি থেকে বের হন।
কিন্তু ওই নার্স করোনামুক্ত হওয়ার পরও প্রতিবেশীদের বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে। তাকে গালাগালের পাশাপাশি পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এই খবর পেয়ে উপজেলার কাজিয়াটি গ্রামে নার্সের বাড়ি ছুটে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নূর মো. সামছুল আলম এবং আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুবীর সরকার। তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই ওই গ্রামে গিয়ে বুঝিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতেও কাজ না হওয়ায় মোহনগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নার্স তাসলিমা আক্তার সেতু।
অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নমুনা পরীক্ষার পর গত ৫ জুন তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পৌরশহরের কাজিয়াটি গ্রামে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকেন। এ সময় তার বাবা আ. মালেক (৫৯), ছোট বোন আদৃতা (১৪) ও তার সন্তান আদিবা (১৪ মাস) করোনায় আক্রান্ত হয়।
গত ২৩ জুন দ্বিতীয় পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হন। পরবর্তীতে গত সোমবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় তিন বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক প্রতিবেশী তার পা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করা অন্যায়। অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মতামত লিখুন :