Logo

কালবৈশাখীতে লন্ড-ভন্ড ভারত ও বাংলাদেশ

অনিন্দ্য বাংলা
সোমবার, এপ্রিল ১, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে লন্ড-ভন্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা। জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি সহ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং 100 জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। কমপক্ষে 200টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং আনুমানিক 1,500টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।
এই ঝড়ের তান্ডবে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৩১, মার্চ রবিবার বিকেলের কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন জলপাইগুড়ি জেলা। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় ময়নাগুড়ি ব্লকের পুঁটিমারী এলাকায়। পুঁটিমারীর বসবাসের ঘর-বাড়ি ভেঙে এক লন্ড-ভন্ড অবস্হা। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে রাতেই জলপাইগুড়িতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের এই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দূর্যোগের রাতে বাগডোগরা থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়এদিন রাত প্রায় বারোটা নাগাদ জলপাইগুড়িতে পৌঁছান । মৃতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, ভিডিও কলে অনেক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্হদের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।এরপর রাত ১ টা নাগাদ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ঢুকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গভীর রাতে জলপাইগুড়িতে আসলেও তাঁকে দেখার জন্য অনেকেই জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে ভিড় করেন। এদিকে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জেও আঘাত হানে কালবৈশাখী। ঘর- বাড়ি, অফিস, হ্যাচরীসহ সবকিছু লন্ড- ভন্ড করে দিয়ে যায়। মানুষের মৃত্যু না ঘটলেও ঝড়ের কারনে গবাদিপশু, পাখি মারা যায় অনেক। ফিসারীর মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ায় স্হানীয়দের প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।